ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ভোট না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৭ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৪
ভোট না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে
মারধরের অভিযোগ ভুক্তোভোগী ব্যবসায়ীরা

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ভোট না দেওয়ার অভিযোগে চান মোহাম্মদ নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয়েছে। এ ছাড়া একই বাজারের আরও কয়েক ব্যবসায়ীর দোকানপাট তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজীয় প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

 

অপরদিক কম ভোট পাওয়ার কারণে উপজেলার রয়নাপাড়া গ্রাম অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোটের পরদিন বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে দোয়াত-কলম প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সমর্থক মোকলেস ও আল-আমিনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন তামাই বাজারের মাছ ব্যবাসয়ী মো. সিদ্দিক, মোহাম্মদ আলী ও চান মোহাম্মদের মাছ লাথি দিয়ে ফেলে দেন। এসময় চান মোহাম্মদকে মারধর করা হয়।  

ওই বাজারের হাফিজুল ইসলামের কাঁচামালের দোকান আব্দুল মান্নানের মুদি দোকান ও আসাদুলের রঙের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।  

ভুক্তভোগীরা জানান, রয়নাপাড়া ও কালিয়াপাড়া গ্রাম নিয়ে তামাই বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। এ কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীকে বদিউজ্জামান ফকির এক হাজার ১৭১ ভোট পান আর আমিনুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে পান ৪৬৮ ভোট। দোয়াত-কলম সমর্থকরা বলছেন, রয়নাপাড়া গ্রামের লোকজন তাদের ভোট দেয়নি। এ কারণে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থীর নিকটাত্মীয় ফজল তালুকদারের নেতৃত্বে রয়নাপাড়ার লোকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। গ্রামের কেউ বাইরে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছেন না।  

ওই গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য বাবলু প্রামাণিকও অবরুদ্ধ হয়ে আছেন বলে জানান। দোয়াত-কলম সমর্থক এরশাদ ও বাবুর নেতৃত্বে মোটরসাইকেল বহর তাকে ধরার জন্য রয়নাপাড়া এসে ঘুরছে। তারা বলছেন, তোরা তামাই গ্রামের মুরুব্বীদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেসনি। তোদের তামাই বাজারে আসতে দেব না।  

এদিকে ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সৌভিক ইসলাম শোষণ জানান, বুধবার দোয়াত-কলম বিজয়ী হওয়ার পর কর্মী-সমর্থকরা বিজয় মিছিল নিয়ে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে।  

এসব বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান জানান, তামাই বাজারের বিষয়ে মৌখিকভাবে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে কিছু জানা যায়নি। ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়েও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। এসব বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।  

সিরাজগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (বেলকুচি সার্কেল) মি. জন রানা বলেন, ঘটনাগুলো আমাদের কেউ জানায়নি। বিষয়টি জানলাম। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।