ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী ও জেল হত্যা মামলার আসামি রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের নাম পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন তার সন্তানরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত পত্রের ভিত্তিতে জড়িতদের ধরতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে ওই পত্র পাঠানো হয়েছে ইসিতে। এরপরই জড়িতদের ধরতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী ও ১৯৭৫-এর জেল হত্যার আসামি রিসালদার মোসলেম উদ্দিন তার নাম পরিবর্তন করে মো. রফিকুল ইসলাম খান নামে পরিচিত হয়েছেন এবং পলাতক আছেন মর্মে এনটিএমসি হতে প্রাপ্ত পত্রে উল্লেখ আছে। তার ছয় ছেলে-মেয়ে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নাম রিসালদার মোসলেম উদ্দিন পরিবর্তন করে মো. রফিকুল ইসলাম খান উল্লেখ করেছেন।
ওই জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ০৩ (তিন) ছেলে-মেয়ে উত্তোলনকৃত পাসপোর্ট এবং ০১ (এক) ছেলে ড্রাইভিং লাইসেন্সেও বাবার নাম পরিবর্তন করে মো. রফিকুল ইসলাম খান অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
এছাড়া রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে-মেয়ে কর্তৃক জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য জাতীয় ডাটাবেজে বাবার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ মর্মেও পত্রে উল্লেখ আছে।
পত্রে এই বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
ইসিতে পাঠানো ওই পত্রে সঙ্গে জুড়ে দেওয়া তালিকায় বলা হয়েছে- মুসলেম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম খান, মাহমুদুল ইসলাম খান, মজিদুল ইসলাম খান, মো. মহিদুল ইসলাম খান, মো. সাজিদুল ইসলাম খান ও মেয়ে সানাজ খান। তারা তাদের এনআইডিতে বাবার নাম পরিবর্তন করে মো. রফিকুল ইসলাম খান উল্লেখ করেছেন। তাদের মধ্যে আবার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম খান, মো. মহিদুল ইসলাম খান ও সানাজ খান পাসপোর্টেও তাদের বাবার নাম মো. রফিকুল ইসলাম খান করে নিয়েছেন। আর মাহমুদুল ইসলাম খান তার ড্রাইভিং লাইসেন্সেও তার বাবার নাম পরিবর্তন করেছেন।
এ বিষয়ে ইসির এনআইডি মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র আইন অনুযায়ী, মিথ্যা তথ্য দিয়ে এনআইডি করলে বা তথ্য পরিবর্তন করলে তা অপরাধ। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জেল, জরিমানা করার বিধান আছে। খুনি মোসলেম উদ্দিন ভারতে পলাতক আছেন। আবার তিনি সেখানে মারা গেছেন বলেও কথিত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৪
ইইউডি/এফআর