কুমিল্লা: কুমিল্লায় একটি কেন্দ্রে সময়মতো না আসায় এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে সব প্রার্থীর এজেন্ট বের হয়ে গেছেন। এতে এজেন্টশূন্য কেন্দ্রে ভোটারও আসতে দেখা যায়নি।
কোনো বুথে দেড় ঘণ্টায় পড়েছে দুই ভোট, কোনো বুথে পড়েছে পাঁচ ভোট।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোট শুরুর পর এমন ঘটনা ঘটে নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের তুগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সরোয়ার আলম জানান, তুগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই হাজার ৩৬০ ভোট রয়েছে। কেন্দ্রের ভোট কক্ষ পাঁচটি। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ৮টা ৩৫ মিনিটে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু ইউসুফ ভূঁইয়ার এক এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকতে আসেন। নির্দিষ্ট সময়ের পরে আসায় আমি ঢুকতে দিইনি। তাই তারা সব প্রার্থীর সমর্থক নিয়ে কেন্দ্রের এজেন্টদের বের করে নিয়ে গেছেন। তারা ভোটারদেরও আসতে দিচ্ছেন না। এখন কেন্দ্রে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া আর কেউ নেই।
এদিকে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুল হক বলেন, পুলিশ ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আমাদের কাছে খরচ চেয়েছিলেন। আমরা না দেওয়ায় যেসব এজেন্ট দেরিতে এসেছিলেন, তাদের ঢুকতে দেননি। তাই আমরা সব প্রার্থীর সমর্থকরা মিলে এ কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করছি।
একই দাবি করেছেন আনারস প্রতীকের কেন্দ্রের প্রধান এজেন্ট আবু সুফিয়ান জুলিয়াস ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট সাইফুল ইসলাম।
এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, এটি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৪
এসআই