ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আজিজের ভাইদের এনআইডি জালিয়াতির প্রতিবেদন দুদকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
আজিজের ভাইদের এনআইডি জালিয়াতির প্রতিবেদন দুদকে

ঢাকা: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার তদন্ত প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার।

জানা গেছে, আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ (জোসেফ) নিজেদের নামের পাশাপাশি বাবা-মায়ের নামও পরিবর্তন করেছেন। হারিছ আহমেদ তার নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান। আর জোসেফ নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল। তাদের এনআইডির তথ্য পরিবর্তনে আজিজ আহমেদ সুপারিশ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ, অভিযোগ আসে যে ওনার দুই ভাই জালিয়াতি করে একাধিক এনআইডি করেছেন। এর প্রক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে জানতে চায় এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চায়। দুদক থেকে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা সময়ক্ষেপণ না করে ব্যবস্থা নিই। তিন সদস্য বিশিষ্টি তদন্ত কমিটি করি। আমরা এমনভাবে এগিয়েছি যেন অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো না হয়। তদন্ত রিপোর্ট যেন সুষ্ঠুভাবে আসে।

তিনি বলেন, তদন্তে পাওয়া যায় যে, মোহাম্মদ হাসান, হারিছ আহমেদ একই ব্যক্তি। আবার তোফায়েল আহম্মেদ জোসেফ ও তানভীর আহমেদ তানজীল একই ব্যক্তি। তারা দুই নামে, পিতার নাম পরিবর্তন ও ঠিকানা উলোটপালোট করে মোট চারটি এনআইডি করেন।

চতুরতা করে চারবার এনআইডি করার বিষয়টি ভোটার তালিকা আইন ২০০৯,  ভোটার তালিকা বিধিমালা ২০১২, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৪, এই চারটা আইনের পরিপন্থি। তারা ভোটার নিবন্ধন ফরম-২ বিধি মোতাবেক পূরণ করেন নাই। তারা বায়োমেট্রিকও করেননি (আঙুলের ছাপ দেননি)। এবং দূর থেকে এটা করেছেন। এখানে আসেননি।

এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, জেনারেল আজিজ সেনাপ্রধান ছিলেন, ওনার একটা জোর তদবির ছিল যেন এটা করা হয়। এ হিসেবে এটা করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সময়ক্ষেপণ না করে আমরা চারটি এনআইডি একেবারে ব্লক করে দিয়েছি। ভবিষ্যতে এই চারটা কার্ড আর ব্যবহার করতে পারবে না। ভবিষ্যতে এনআইডি যত সুযোগ সুবিধা আছে তা আর পাবে না। এছাড়া আমরা দুদকে তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। দুদক যদি মনে করে পরবর্তীতে আমাদের কাছ থেকে আরো তথ্য নেওয়ার বা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন সেটা সময়ের প্রেক্ষিতে আমরা যদি প্রয়োজন মনে করি, সেটা জরুরি ভিত্তিতে করব।

কর্মকর্তাদের যোগসাজশ আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্পেসিফিক কার মাধ্যমে হয়েছে, সেটা এখনো বের করতে পারিনি। যেহুতু সেনাপ্রধানের জোর তদবির ছিল, সেটা হয়তো জরুরি ভিত্তিতে করে ফেলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।