ভোরের আলোর ছটা চোখে পড়ায় বাসের যাত্রীরা এসি বাসের কম্বলটা আরো জড়িয়ে নিলেন। দু-একজন উপভোগ করছিলেন কুয়াশা-ঢাকা প্রকৃতি।
ধীরগতিতে বাস চলতেই থাকলো। কুয়াশা বলে হেডলাইট অনিবার্য। দৃষ্টিসীমা মাত্র কয়েক গজ।
এরই মধ্যে বাসের সুপারভাইজার ডাক দিলেন, মডার্ন মোড় যারা নামবেন রেডি হন। কম্বল মাথা থেকে নামিয়ে সামনে তাকালেন কয়েক যাত্রী। একটু পরে নেমে গেলেন এক যাত্রী।
সকাল আটটার দিকে রংপুর সিটির এ প্রবেশদ্বারে এলো বাসটি। মাত্র নয় ঘণ্টার যাত্রা শেষে রংপুর, এ যেন প্রশান্তি!
আর মাত্র একদিন পর এই নগরের পিতা নির্বাচনের জন্য ভোট। বাঘা বাঘা তিন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং বিএনপির তিনজনই মেয়র পদে লড়ছেন সমান তালে। আর কাউন্সিলরদের ভোট পাড়ায় পাড়ায়।
ভোটের সকালে নীরব উত্তাপ। রাস্তার পাশে রশিতে টানানো পোস্টার। সাদা কালো পোস্টার, সারি সারি। বাসের গতির সঙ্গে বাতাসে দোল খেল খানিকটা। রাস্তায় তখন রিক্সা, অটোচালক ছাড়া কেউ নেই। এগিয়ে চললো বাস।
শহরের যতো কাছে আসলো বাসটি, ততোই ভোটের উত্তাপটা স্পষ্ট হলো। রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসেই সেটা বোঝা গেল। সারি সারি পোস্টার, লোকমুখে গুঞ্জন।
সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাস এসে থামলো কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে। সেখানেও পোস্টার। তবে কুয়াশা ঢাকা থাকায় লোকজন তেমন বের হয়নি। বাসস্ট্যান্ডজুড়ে শুধুই অটোরিক্সার ভিড়। সকালে যারা বাস থেকে নামছেন সবাই এসেছেন নির্বাচনী কাজে। এদের কেউ কেউ ভোটার।
আমরা চারজন সংবাদকর্মী বাস থেকে নেমে শহরের উদ্দেশ্যে, অটোরিক্সায়। কুয়াশার কারণে শীতের কাঁপুনিটা বেশি হয়নি। তবে আরামপ্রিয় মানুষ ঘর থেকে বাইরে আসেননি।
চালক হাসান বললেন, ঠাণ্ডায় লোকজন বের হয়নি। আরো পরে বের হবে...।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআই