জয় পেয়ে গেলবার মেয়র পদে ছিলেন আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমদ ঝণ্টু। এবারও তিনি ক্ষমতাসীন দলের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন।
রংপুরের মাটি বিএনপির জন্য উর্বর নয়। আর সে কারণে এই দলের প্রার্থী বাবলাকে দল নয়, বরং ব্যক্তি ইমেজ দিয়ে বিবেচনা করছেন ভোটারদের অনেকেই। মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ক্ষমতাটাই ভোটাররা ভালোবাসছেন। তবে দলীয় ফ্যাক্টরের সঙ্গে ব্যক্তি ইমেজকে কাজে লাগিয়ে একটি বিরাট অংশ তার সমর্থন করছেন।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জাতীয় পার্টির এরশাদের এলাকা রংপুরে 'হেবিওয়েট' প্রার্থী। দলীয় ইতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি জাতীয় পার্টির নেতা হিসেবে ব্যক্তি ইমেজও তার শক্তি। রংপুরের মানুষ লাঙ্গলে ভোট দেন, আর নারী ভোটাররাও লাঙ্গল প্রতীকে দুর্বল বলে জানাচ্ছেন ভোটাররা।
বড় তিন দলের তিন প্রার্থীকে নিয়ে এমনই মূল্যায়ন করছিলে কয়েকজন ভোটার।
২১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে আদর্শ পাড়ার পাশে শাপলা চত্বর এলাকায় বিকেলে এক হোটেল থেকে পেঁয়াজু, সিদ্ধ ছোলা কিনে বাসায় ফিরছিলেন।
ভোটের পরিবেশ-পরিস্থিতি জানতে চাইলেই বললেন, আগেরবার তো ঝণ্টু ছিল, এবার আল্লাহ ছাড়া কার কী ভাগ্য বলা যাবে না।
এই ভোটার জাবেদ আলী সত্তর বছরে পা দিয়েছেন। বলছেন, লাঙ্গলের কথা শুনা যাওচে (শোনা যাচ্ছে)।
বদরগঞ্জ-রংপুর রোডের পাশে আশরতপুরে সারা দিনই চা-বিস্কুট বিক্রি করেন হাফিজুর রহমান। তার চায়ের দোকানে বসে ভোটের আড্ডাটা জমজমাট ছিল প্রচারণার শেষ বিকেলে।
সেই হাফিজুরের সঙ্গে কণ্ঠ মেলালেন আশরতপুরের আশরাফুল আলম। বলছিলেন তিন দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথা। 'তবে'... বলেই পরক্ষণে সুর কিছুটা নরম করলেন হাফিজুর।
আশরাফুল চলে যাওয়ার পর হাফিজুর জানালেন, এবার লাঙ্গলের পাল্লা ভার!
আলমনগর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক ভোটার জানালেন, মহিলাদের ভোট হবে দুই ভাগ। নৌকা আর লাঙ্গলে হবে লড়াই
চায়ের দোকানে বসে থাকা আরেকজন বললেন, বোঝা যাবে বৃহস্পতিবার। দল ক্ষমতায়, উন্নয়নের জন্য মানুষ নৌকাতেই সিল মারবে।
তবে ফল যাই হোক, ভোটের আগে উৎসবটাই বিরাজ করছে রংপুরে। দুপুর থেকে শুরু হয়েছে মাইক নিয়ে প্রচারণা, প্রার্থীরা ঘুরছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে।
**‘বাহে, হামরা জানি জেতপে কায়’
**শীতে জবুথবু রংপুরের ভোটের সকাল
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ