ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটের মাঠে ভ্রাম্যমাণ দোকানের জমজমাট বিকিকিনি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
ভোটের মাঠে ভ্রাম্যমাণ দোকানের জমজমাট বিকিকিনি রংপুরে ভোট কেন্দ্রে খাবারের অস্থায়ী দোকান। ছবি: বাংলানিউজ

রংপুর থেকে: রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনের মাঠে জমজমাট ব্যবসা করছে স্বল্প পুঁজির ভ্রাম্যমাণ দোকানদাররা। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর)  নির্বাচনী বিভিন্ন কেন্দ্রের আশপাশে এমন ভ্রাম্যমাণ দোকান দেখা যায়।

স্বল্প পুঁজি ও অল্প পরিশ্রমে একদিনের এই ব্যবসায় লাভের মুখ দেখছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকেই আবার শখের বশে চেয়ার-টেবিল নিয়ে দোকান ধরে বসেছেন রাস্তার পাশে।

রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রায় ৬৫ ভাগ এলাকাই কৃষিজমি। তাই এর বেশির ভাগ এলাকাই অনুন্নত তথা গ্রামীণ।

নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গুলাল বুদাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা তেমনি দুটি কেন্দ্র।

মূল শহর থেকে দূরে ভাঙ্গাচোরা রাস্তা ও সিটির সুবিধা বঞ্চিত এসব এলাকায় চোখে পড়ে এমন ভ্রাম্যমাণ দোকান। গরম গরম জিলাপি, পিয়াজু, নিমকি, সিঙ্গাড়াসহ বিভিন্ন খাবার শোভা পাচ্ছে এসব দোকানে। আবার সিদ্ধ ডিম, পান-সিগারেটসহ অন্যান হরেক মালের দোকানও রয়েছে।

রংপুরে ভোট কেন্দ্রে খাবারের অস্থায়ী দোকান।  ছবি: বাংলানিউজতাই এসব দোকান ঘিরে ভোটার ও সাধারণ মানুষসহ ছোট বাচ্ছাদের ভিড় লক্ষ্য করার মত।

কথা হয় পান-সিগারেট দোকানি মেগেন চন্দ্রের সাথে। তিনি একটি টেবিল নিয়ে বাঁশঝাড়ের নিচে রাস্তার পাশেই দোকান বসিয়েছেন। হাসিমুখে জানালেন, এগারোশ’ টাকার মাল কিনছিনু (কিনছিলাম), এখন দুইহাজার টাকার মত ব্যাচাকিনা করছি, আরো অল্প একনা মাল আছে, তিন চাইরশ’ টাকা ব্যাচপার (বিক্রি) পামো'।

বিক্রি কেমন জানতে চাইলে বলেন, দুইবার মাল শ্যাষ হয়া গেছলো, পরে পাইকারি কিনি আনছি, ঐখানে আর মালে নাই, শ্যাষ হয়া গেইছে।

কিছুদুর এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল রাস্তার পাশে মাটি খুঁড়ে ইটের সাহায্যে চুলা বানিয়ে হরেক রকম গরম খাবারের দোকান। ভিড় প্রচুর।
দোকানদার বৃদ্ধ আলতাব হোসেন বলেন, দুই ব্যাটা আর ভাতিজাক নিয়া দোকান ধরছি। ব্যাচাকিনা ভালই। কয়টা টাকা লাভ হইবে হামার।

জিলাপি ভাজা ও কাস্টমারদের সামলানোর ফাঁকে প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার ফুসরত পাচ্ছিলেন না তিনি। এর ফাঁকেই কথা হয় তার সাথে।

ওই দোকানে গরম জিলাপি খেতে বসেছেন পঞ্চাষোর্ধ নাসিমা বেগম। গরম জিলাপি মুখেই নিতে পারছিলেন না। ফুঁ দিচ্ছিলেন বার বার।

জানতে চাইলে বলেন, ভোট দিয়া একনা গরম জিলাপি খাবার মন চাইল, তাই খাচ্ছো।

মূল শহর বাদে সবকটি ভোটকেন্দ্রের পাশেই এমন ভ্রাম্যমাণ দোকান বসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।