ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

২৪ ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিংয়ের নির্দেশ ইসির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
২৪ ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিংয়ের নির্দেশ ইসির

ঢাকা: ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রুখতে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে অপরাধীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। 

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সোমবার (২৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনার কথা জানান।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে গুজব, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি, এনটিএমসি এবং পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট রাউন্ড দ্য ক্লক (সারাক্ষণ) মনিটরিং করবে। প্রয়োজনের আমাদের সঙ্গে তারা সার্বক্ষণিক অ্যাটাচড থাকবে। এতে আমরা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারবো। ’

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচনকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা, গুজব, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বা বানচাল করার উদ্দেশ্যে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছি। ফেইক আইডি থেকে প্রোপাগান্ডা চালালে তাদের চিহ্নিত করে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না বলে মত দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। যারা গুজব ছড়াবে, সহিংসতা ও অপপ্রচার ছড়াবে তাদের বিষয়ে এনটিএমসি, বিটিআরসি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার ক্রাইম ইউনিট মনিটরিং করবে। এক্ষেত্রে ইসিকে জানিয়েই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’ 

বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।  ছবি: বাংলানিউজইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ভবনসহ সর্বত্র মোবাইল যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখার পাশাপাশি ইন্টারনেটের পূর্ণমাত্রার গতি বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ’ 

ফেসবুকে নানাভাবে নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ফেসবুকে প্রচারণার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ আচরণবিধির আওতায় নেই। প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে তা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর। এর আগে প্রচারণা চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

এ সময় ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান, যুগ্ম-সচিব (আইন) সেলিম মিয়া, যুগ্ম-সচিব এসএম আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), টেলিটক বাংলাদেশ, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন ইসি সচিব।

৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে একাদশ সংসদ নির্বাচনের যে তফসিল নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, তাতে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা এবং ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রত্যাহার করা যাবে। এরপর ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হলে আনুষ্ঠানিক প্রচারে যেতে পারবেন প্রার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
ইইউডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।