ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

প্রশাসনের রদবদলে বিএনপির দাবি অবান্তর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৮
প্রশাসনের রদবদলে বিএনপির দাবি অবান্তর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন এইচ টি ইমাম

ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, বিএনপিতো মেনেই নিয়েছে যে, এ সরকার ও প্রশাসনের অধীনেই নির্বাচন করবে। এখন তো রদবদলের দাবি অবান্তর।
 

নির্বাচন ভবনে রোববার (০২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর তিনি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
 
প্রশাসনের রদবদল নিয়ে বিএনপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি প্রশাসনের রদবদলের নামে যে দাবি করেছে, তাহলে একেবারে পুরো সরকারকেই উলট-পালট করতে হয়।

পুরো সরকারই বদল করতে হয়। সেটি তো, নয়। বিএনপি তো মেনেই নিয়েছে যে, এ সরকারের অধীনেই এবং এই প্রশাসনের অধীনেই তারা নির্বাচন করবে। তারা তো নির্বাচনে এসেছে। এখন তো এই প্রশ্ন আমি মনে করি অবান্তর।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, আজকে আমরা শুনলাম মির্জা ফখরুল সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যেটি একবারে নির্বাচনী আচরণবিধির সুষ্পট লঙ্ঘন, সেখানে তিনি একটি সমাবেশ করেছেন। এখন তো সমাবেশ করার কথা না। সমাবেশ যেই করুক না কেন, আমাদের কেউ করলেও সেটি যেমন শাস্তিযোগ্য অপরাধ, অন্যদের বেলাও সেটি প্রযোজ্য। আমরা এখানে এসেছি, আমরা চাই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, যে কথা বলছি-সেটা মনেপ্রাণে আমরা বিশ্বাস করি।
 
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন কী বলেছেন- এই প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন- তারা ব্যবস্থা নেবেন। আমরা সবসময় বলছি, আইন সবার জন্য সমান। আমাদের কেউ এরকম করলেও। আপানারা জানেন বিএনপির কোনো কোনো নেতা বিভিন্ন ধরনের কথা বলেছেন। যেমন তারা বলছে নির্বাচন কমিশন ৩০ ডিসেম্বরের পর কোথায় থাকে আমরা দেখবো। কিংবা আওয়ামী লীগ নেতাদের কোথায় থাকে আমরা দেখবো। তার মানে কী? এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে বলেছি। এ বিষয়ে কমিশনকে সুষ্পষ্টভাবে নির্দেশনা দিতে বলেছি।
 
সবার জন্য সমান সুযোগ নেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নির্বাচন কমিশনে এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন- মওদুদ আহমদ বললেই কী বেদবাক্য হয়ে গেল, তাতো নয়। তারা দিন-রাত মিথ্য কথা বলেন। অনবরতই মিথ্যা কথা বলেন। মওদুদ আহমদ দশ বছর আগে বিশ বছর আগে কী বলেছেন, এখন কী বললেন?
 
তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র তথা সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে লক্ষ্য করে বিভিন্নভাবে চারদিক থেকে উস্কানীমূলক বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করা উচিত। আমরা আগেও বলেছি নির্বাচন কমিশনকে যদি সত্যিই আমরা শক্তিশালী করতে চাই, যদি মনে করি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে, নির্বাচন কমিশন করতে পারবে। এবার নির্বাচনে একটা অভূতপূর্ব জিনিস হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সময়ে তার সরকারের সময়ে সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এমন অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেখানে প্রত্যেকেরই সমর্থন দরকার। সহযোগিতা প্রয়োজন এবং সহনশীলতা প্রয়োজন।
 
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে আমরা কখনই কোনো উস্কানীমূলক বক্তব্য আমরা দেইনি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে কতগুলো বিষয় বলেছি। যেমন আজকাল অনেকগুলো অনলাইন আছে, তাদের কোনোরকম নিবন্ধন নেই এবং স্থানীয়ভাবে অনেক লোকাল টেলিভিশন ও গজিয়ে উঠেছে। এগুলো সম্পর্কেও আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। যাতে কেউ কোনোরকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, কেউ যাতে অপপ্রচার না করে। আর সব থেকে বড় জিনিস জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় যাতে না দিতে পারে।
 
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, লণ্ডনে সম্প্রতি ডেইলি টেলিগ্রাফে এবং ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় এসেছে সেখানে ব্যাংকিং আইনে দণ্ডিত একজন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। সেখানে তাকে এক মিলিয়ন পাউন্ড দণ্ডিত করা হয়েছে। তারপরও সেই ব্যক্তি এখানে এসেছেন। তিনি বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন। এ বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরেছি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।