ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোট দিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
ভোট দিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন ভোট দিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: চলছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট উৎসব। রাত পোহাতেই সাধারন জনগন নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর কেন্দ্রগুলোতে। আর এই উৎসবে সামিল হতে এসেই বিপাকে পড়েছেন প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন। তবে শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হওয়ায় তার উচ্ছ্বাসটাও ছিল চোখে পড়ার মতোই।

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকা-১৭ আসনের বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজে ভোট দিতে আসেন অটোরিক্সা চালক রুহুল আমিন (৪৫)। কড়াইল আদর্শনগর এলাকার রুহুল আমিনকে একটি হুইল চেয়ারে করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসেন তার স্ত্রী কামরুন্নাহার।

এরপরই বাধে বিপত্তি। সকাল ৯টার সময় ভোটকেন্দ্রে আসার পর ভবনের সামনে হুইল চেয়ারে বসে অপেক্ষা করতে থাকেন প্রতিবন্ধী রুহুল। তার স্ত্রী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রুহুলের ভোটকক্ষ ভবনের তৃতীয় তলায়। বাল্যকাল থেকেই পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে রুহুল দুটি পা হারিয়ে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রের তিন তলায় উঠবে কিভাবে তা ভেবেই চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি। উপায় না দেখে অপেক্ষা করতে থাকেন কেন্দ্রের সামনেই। এর মধ্যেই কেন্দ্রটি পরিদর্শনে আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

কমিশনের চেয়ারম্যান পরিদর্শন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রুহুল আমিন নিজে তার কাছে বিষয়টি খুলে বলেন। তখন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যন বলেন, ‘আমরা আগে ইসিকে বলেছিলাম প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধরা যেন সহযভাবে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করতে। তার সাথে তখন ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ড. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এর প্রেক্ষিতে প্রিজাইডিং অফিসার মানবাধিকার কমিশনকে ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।

ভোট দিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী।  ছবি: বাংলানিউজ

তাৎক্ষনিক তিনি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন আনসার সদস্যকে রুহুলকে নিয়ে গিয়ে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। এরপর আনসার সদস্যদের সাহায্যে কাঙ্খিত নিজের ভোট দেন রুহুল আমিন। নিজের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা হওয়ায় তাৎক্ষনিক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন রুহুল আমিন।

রুহুলের স্ত্রী কামরুন্নাহার বলেন, ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী উভয়ই এ কেন্দ্রের ভোটার। ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ সুন্দর আছে। আমার স্বামীর পঙ্গুত্বের কারণে কিছুটা সময় লেগেছে। এখন স্যররা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ’

এ দম্পতি তিন সন্তানের জনক ও জননী।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এজেডএস/পিএম/এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।