এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৯৮ জন প্রার্থী রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের। আর ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি ও তার শরিকদলগুলোর প্রার্থী রয়েছেন ১৮৬ জন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯৯ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা-৩ আসনের একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই আসনে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৭ জানুয়ারি। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের ৩টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় সেখানে ৯ জানুয়ারি পুনর্ভোটের পর আসনটির ফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
অবশিষ্ট ২৯৮ আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৫৭টি আসন, জাতীয় পার্টি ২২টি আসন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টি আসন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ২টি আসন পেয়েছে। আর জাতীয় পার্টি-জেপি ১টি আসন ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন পেয়েছে ১টি আসন।
এছাড়া বিএনপি ৫টি আসন, গণফোরাম ২টি আসন পেয়েছে। স্বতন্ত্র থেকে ৩ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
এবারের নির্বাচনে ১ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৭৩৩ জন আর ১২৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শরিকদের মিলিয়ে নৌকা মার্কায় ২৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আর ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি ও শরিকদের প্রার্থী ছিল ২৮২ জন। সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ছিল হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলনের। এই দলটি ২৯৯টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল।
মাঠ পর্যায় থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো নির্বাচনের ফলাফলের তালিকা থেকে জানা গেছে, মোট ১৮৬১ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৪৪০ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের ২৮২ প্রার্থীর মধ্যে ৯৬ প্রার্থী জামানত হারাননি। অর্থাৎ ১৮৬ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, কর্নেল অলি আহমদের মতো নেতারাও রয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৯৮ জন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ১২০ জনের মতো জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্র্রী লতিফ সিদ্দিকীও রয়েছেন।
সংসদ নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, কোনো আসনের নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জামানত বাতিলের বিধান রয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৪৪০ জনের মতো প্রার্থী তার আসনের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোটও পাননি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, জামানত বাজেয়াপ্তদের তালিকা করা হচ্ছে। শিগগিরই তাদের বাজেয়াপ্ত জামানত সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীকে ২৫ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস