১২ কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত হওয়া একটি কেন্দ্রে রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। এরপর গণনা শেষে দেখা যায়, জগ প্রতীক নিয়ে নজরুল ইসলাম সওদাগর পেয়েছেন নয় হাজার ৩৮৬ ভোট।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন বকশীগঞ্জ পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১ কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলেও মালিরচর হাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার। তিন দফা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার পরেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহিনা বেগমের করা মামলার কারণে ভোট হচ্ছিল না। ওই দিনের নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম সওদাগর আট হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন। তারপরেই অবস্থান ছিল বিএনপির মেয়র প্রার্থী ফখরুজ্জামান মতিনের। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছিলেন সাত হাজার ৫০৫ ভোট। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী শাহীনা বেগম নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলেন পাঁচ হাজার ১৬০ ভোট। স্থগিত কেন্দ্রের মোট ভোট সংখ্যা এক হাজার ৫৮৩। নিকটতম দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান স্থগিত কেন্দ্রের ভোটের চেয়ে কম হওয়ায় ফলাফল স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন।
রোবাবর স্থগিত হওয়া কেন্দ্রে হওয়া নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল ইসলাম সওদাগর পেয়েছেন ৭৮৭ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহিনা বেগম পেয়েছেন ৩১৪ ভোট আর বিএনপির প্রার্থী ফখরুজ্জামান মতিন পেয়েছেন ৬৩ ভোট। ভোটগণনা শেষে বেসরকারিভাবে বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আশিকুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
এসআই