বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কেএম নুরুল হুদা বলেন, যারা উপজেলা পরিচালনা করবেন, সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সিইসি বলেন, সমন্বয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরাতো দূরে থাকবো। জেলা, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার, সংযুক্ত থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা এবং অংশগ্রহণ করবেন যারা প্রতিনিধিত্ব করতে চাইবেন, সেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভোটার। যাদের ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। আপনারা এসব লোকের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন। এরা আপনাদের প্রতি তাকিয়ে আছে- সুষ্ঠু, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করবেন এই প্রত্যাশায়।
‘মনে রাখতে হবে আপনাদের দক্ষতার ওপরে, পারদর্শিতার ওপরে, নিরপেক্ষতার ওপরে নির্ভর করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। আমি আশা করি কখনো কারও প্রতি কোনো রকমের দুর্বলতা আপনাদের থাকবে না। কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকবে না। পুরোপুরি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে আপনারা একমাত্র প্রজাতন্ত্রের এবং সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির কাছে দায়বদ্ধ নন। কারও প্রতি কোনো রকমের দুর্বলতা, অনুরাগ, বিরাগ- কোনো কিছু আপনাদের থাকবে না। কেবল নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য যতটুকু করার দরকার ততটুকু আপনাদের করতে হবে। ’
কেএম নুরুল হুদা বলেন, যদি কোথাও কোনো অনিয়ম হয়, প্রিজাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত হয়ে যায়, প্রিজাইডিং অফিসার যদি সিদ্ধান্ত দেন যে, তার পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয়, তখন রিটার্নিং অফিসার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি মনে করেন যে নির্বাচন তার নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত, তাহলে তিনি কমিশনে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করবেন। কমিশনের কাছে তার যুক্তি যথাযথ মনে হলে সেই উপজেলার নির্বাচনই বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
ইইউডি/এইচএ/
** গণতন্ত্র একদলীয় হয় না: মাহবুব তালুকদার