গত ১১ ফেব্রুয়ারি ওই উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু মনোনয়ন দাখিল করেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে সেখানে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাইকালে জলঢাকা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফজলুল করিম বাহাদুরের মনোনয়ন বাতিল করেন। বাহাদুর সদ্য জাতীয়করণ হওয়া জলঢাকা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করেছিলেন প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হলেও শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনও জাতীয়করণ হয়নি। তারা এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী।
জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করলে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া রায় বহাল রাখেন।
পরে উচ্চ আদালতে আপিল করলে হাইকোর্ট বিভাগ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে বাহাদুরের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেন।
বাহাদুর বলেন, হাইকোর্ট বিভাগ শুনানি শেষে আমার মনোনয়নপত্রটি বহাল রাখেন। রায়ের কপি ডাকযোগে আসতে সময় লাগতে পারে। এজন্য আমি আমার নিযুক্ত হাইকোর্টের আইনজীবী কর্তৃক প্রেরিত প্রাথমিক সার্টিফাই কপি মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর পাঠিয়েছি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফজলুল করিম বলেন, জলঢাকা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাহাদুর হাইকোর্টে রিট করে তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। নির্বাচন করতে তার আর কোনো বাধা নেই। আইনজীবীর দেওয়া সার্টিফাই কপি আমরা পেয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
আরআর