নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় ভোটের দুই দিন আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন এবং যাতায়াত-অন্যান্য কাজের জন্য একদিন; মোট পাঁচদিন মাঠে থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবি, কোস্ট গার্ড, র্যাব, পুলিশ, আর্মড পুলিশ নিয়োগ করা হবে। ব্যাটালিয়ন আনসার সহযোগী ফোর্স হিসেবে পুলিশের সঙ্গে মোবাইল টিমে দায়িত্ব পালন করবে। তারা ভোটগ্রহণের দুই দিন পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দুইদিন মোট ৫ পাঁচ দিন মাঠে থাকবে।
এছাড়া ভোটের আগে পরে মোট চারদিন গ্রাম পুলিশ সার্বক্ষণিক ভোটকেন্দ্র পাহারায় থাকবে। পুলিশ সুপার গুরুত্ব বিবেচনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আসনার সদস্যের সংখ্যা কমাতে-বাড়াতে পারবেন।
সমতলের ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ১৪ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্সে মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পার্বত্য ও বিশেষ এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৫ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রতিটি ধাপেই এই ছক অনুসারে ফোর্স মোতায়েন করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ও নির্বাচন পরিচালনা বাবদ প্রায় ৯শ’ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যয় হবে।
প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ও পঞ্চম ধাপে ১৮ জুন ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৯
ইইউডি/এমজেএফ