রোববার (১০ মার্চ) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে ভোট গণনা।
সকালে ভোট শুরুর পর কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে।
রাজশাহীর আট উপজেলায় এবার ৫২২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে জেলা পুলিশের আওতায় রয়েছে ৫১০টি ভোটকেন্দ্র। বাকি ১২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে মহানগর পুলিশের আওতাধীন এলাকায়। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে জেলার পবা উপজেলায় এবার ভোটগ্রহণ হচ্ছে না। বাকি আট উপজেলায় রোববার একযোগে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক খান জানান, আট উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোতে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে। এতে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা পুলিশের দুই হাজার সদস্য।
এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) ভোটকেন্দ্র ধরা হয়েছে ২০৬টি। বাকি ৩০৪টি কেন্দ্র সাধারণ ধরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৫ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্বরত আছেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এর মধ্যে রাজশাহীর তানোর উপজেলায় এবার ভোটগ্রহণ হবে ৫১টি কেন্দ্রে। এর মধ্যে ২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ। পাশের গোদাগাড়ী উপজেলায় ৯৮ ভোটকেন্দ্রের ৩৬টি ঝুঁকিপূর্ণ। মোহনপুর উপজেলায় ৪৪টির মধ্যে ২৩টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
বাগমারায় উপজেলায় সর্বাধিক ১০৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে ২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্গাপুরের ৫৩ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৫টি ঝুঁকিপূর্ণ। জেলার পুঠিয়ায় ৫২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ।
চারঘাটে ৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া বাঘা উপজেলার ৫৯ কেন্দ্রের মধ্যে ২২টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের আওতাধীন ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৬টি। এর মধ্যে পুঠিয়ায় ১১টি এবং চারঘাটে পাঁচটি কেন্দ্র। এগুলোর প্রতিটিকেই ঝুঁকিপূর্ণ বলছে নগর পুলিশ। তাই প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার হয়েছে ভোটের আগের দিন সকাল থেকেই।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক খান আরও জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় জানিয়েছে, এবার জেলার তানোরে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৩ জন, গোদাগাড়ীতে দুই লাখ ৩৮ হাজার ৪৩ জন, মোহনপুরে এক লাখ ২৯ হাজার ২৪৮ জন, বাগমারায় দুই লাখ ৭৮ হাজার ১৪ জন, পুঠিয়ায় এক লাখ ৬০ হাজার ৭২৪ জন, দুর্গাপুরে এক লাখ ৪১ হাজার ১০৫ জন, চারঘাটে এক লাখ ৫৯ হাজার ৭২৫ জন এবং বাঘায় এক লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
রাজশাহী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আশা করছি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকালে ভোট শুরুর পর উপস্থিতি একটু কমই থাকে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। এবারও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটবে না।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজশাহীতে এবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন মোট ৮৯ জন প্রার্থী। দুই চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১৮ চেয়ারম্যান, ৩১ ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২০ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
এসএস/এসআই