ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাজশাহীর ৮ উপজেলায় নৌকার প্রার্থীরা জয়ী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
রাজশাহীর ৮ উপজেলায় নৌকার প্রার্থীরা জয়ী

রাজশাহী: সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় থেকে পাওয়া বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী রাজশাহীর আটটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন।

জানা যায়, রাজশাহীর আট উপজেলার মধ্যে গোদাগাড়ীতে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বদিউজ্জামান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ২১ ভোট।

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় আওয়ামী লীগের লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২২ ভোট। মাত্র ৩৫৪ ভোট কম পেয়ে ময়নার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী শরিফুল ইসলাম হাতুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৬৬ ভোট।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় নৌকার মনোনীত প্রার্থী অনিল কুমার সরকার পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুল হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৮৩৪ ভোট।

রাজশাহীর পুঠিয়ায় নৌকার প্রার্থী জিএম হিরা বাচ্চু পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির অধ্যাপক আনসার আলী লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৪৪৩ ভোট।

দুর্গাপুর উপজেলায় নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮০৬ ভোট। তোফাজ্জলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মজিদ সরদার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৪৯ ভোট।

বেসরকারি ফলাফলে রাজশাহীর চারঘাটে নৌকার প্রার্থী ফকরুল ইসলাম পেয়েছেন ৫১ হাজার ৩৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী টিপু সুলতান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪০১।

রাজশাহীর আট উপজেলায় এবার মোট ভোটার ছিলেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৬৬ জন। এবার ৫২২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে জেলা পুলিশের আওতায় ছিল ৫১০টি ভোটকেন্দ্র। বাকি ১২টি ভোটকেন্দ্র ছিল মহানগর পুলিশের আওতাধীন এলাকায়।

উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে প্রথম ধাপে রাজশাহী জেলার পবা উপজেলায় এবার ভোটগ্রহণ হয়নি। বাকি আট উপজেলায় রোববার (১০ মার্চ) একযোগে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ভোটাররা।

রাজশাহী উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম ধাপে জেলার আট উপজেলায় প্রার্থী ছিল ৬৯ জন। এর মধ্যে চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে আজকের নির্বাচনে ৬৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে ছয়টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন, ছয়টি উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৮ জন এবং আটটি উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন ৩১ জন।  

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী লায়েব উদ্দিন লাবলু ও মোহনপুরে চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম এবং গোদাগাড়ী উপজেলায় সুফিয়া খাতুন মিলি ও মোহনপুরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সানজিদা রহমান রিক্তা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৯
এসএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।