শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসএমপির আওতাধীন সিলেট সদর উপজেলা ও দক্ষিণ সুরমায় ১৭ মার্চ রাত ১২টা থেকে সব ধরনের যানবাহন (বেবি ট্যাক্সি/অটোরিকশা/ইজিবাইক, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পু) চলাচল বন্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে ১৮ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত।
একই সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় লঞ্চ, স্পিডবোটসহ ইঞ্জিনচালিত যে কোনো ধরনের নৌ-যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতিসাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে উভয় যানবাহন চলাচলে এ আইন প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া শনিবার (১৬ মার্চ) মধ্যরাত থেকে ভোটগ্রহণের দিন সোমবার (১৮ মার্চ) মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণ পূর্ববর্তী ২৫ মার্চ পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এসএমপি। এ আদেশ ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া জরুরি কাজে নিয়োজিত যানবাহন অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লেখিত নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। তাছাড়া প্রধান প্রধান নৌপথে বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
একই সঙ্গে ভোটার ও জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সকল নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে ও দূরপাল্লার নৌ-যান চলাচলের ক্ষেত্রে এ আইন শিথিলযোগ্য। নির্দিষ্ট সময়সীমার পর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
এনইউ/এএ