বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান বাংলানিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগামী ৫ মে করপোরেশনের কাউন্সিলর পদে ভোট হওয়ার পর গেজেট আকারে এটি প্রকাশ করা হবে।
এর আগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদ নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। তারও আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জাহাঙ্গীর আহমেদ ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
জাহাঙ্গীর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করার পর বুধবার সন্ধ্যায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
ইকরামুল হক টিটু ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস বইতে শুরু করেছে। মিষ্টি বিতরণ হচ্ছে নগরের নানা পয়েন্টে।
তার নেতৃত্বেই ২০৩১ সালের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি ময়মনসিংহ হবে গোটা দেশের সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে মডেল- এমন কথাও বলছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
ইকরামুল হক টিটু ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি টানা সাড়ে ৯ বছর ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ময়মনসিংহের যাত্রা শুরুর পর ১২তম সিটি করপোরেশন হয় ময়মনসিংহ।
পরে গেজেট প্রকাশের দুই দিনের মাথায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথম প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান ইকরামুল হক টিটু। এই নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় মনোনয়ন চাইলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আস্থা রাখেন টিটুর ওপরেই।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ইকরামুল হক টিটু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন এবং আমি নির্বাচিত হয়েছি। আমি অতীতের মতোই প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
আগামী ৫ মে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোটের দিন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পৌরসভা থাকাকালে ২১টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি নতুন ১২টি ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট ৩৩টি ওয়ার্ডে এই নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮ জন। ১২৭টি ভোটকেন্দ্রের সব ক’টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এই ভোটের জন্য সব মিলিয়ে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয় ধরেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন পরিচালনা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ইভিএম এই তিন খাতে মূলত ব্যয় মেটানো হবে।
মেয়র পদে ভোটের প্রয়োজন না পড়লেও ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য এই অর্থ ব্যয় হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
এমএএএম/এইচএ/