বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
জাল ভোটসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সদর ও শাল্লা উপজেলায় পাঁচটি কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সদর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটের ব্যবধান কাছাকাছি হওয়ার কারণে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফলাফল স্থগিত রাখা হয়।
১০ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে নিগার সুলতানা কেয়া পেয়ে ছিলেন ২২ হাজার ৩৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকে সাদিয়া বখত সুরভী পেয়ে ছিলেন ১৮ হাজার ৩৪ ভোট। স্থগিত কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ২২ হাজার ৮৭৫ ভোট পেয়ে নিগার সুলতানা কেয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদিয়া বখত সুরভী পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৯ ভোট। দুই কেন্দ্রে মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে শাল্লা উপজেলায় তিন পদেই স্থগিত হওয়া তিন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল আমিন চৌধুরী পেয়েছিলেন ২৪ হাজার ৯৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অবনী মোহন দাস পেয়েছিলেন ১৯ হাজার ৩০৩ ভোট। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আব্দুল্লাহ আল আমিন চৌধুরী ২৬ হাজার ৬৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অবনী মোহন দাস পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৯৫ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে দিপু রঞ্জন দাস টিউবওয়েল প্রতীকে ১০ হাজার ৪১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উড়োজাহাজ প্রতীকে পঙ্কজ কুমার চৌধুরী পেয়েছেন সাত হাজার ২৭৬ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অমিতা রাণী দাস প্রজাপতি প্রতীকে ১৫ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অলি বেগম ফুটবল প্রতীকে আট হাজার ৯৩৭ ভোট পেয়ে পেয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ ফলাফলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
জিপি