নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ তার কার্যালয়ে রোববার (০৫ মে) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবকিছু নির্ভর করছে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপর।
এজন্য বাংলাদেশের দূতাবাসেই আমার প্রথমে এক হাজার নাগরিককে এ সেবার আওতায় আনবো। যদি এটা সফল হয়, তাহলে পরে বড় আকারে কাজ করা হবে। জুনেই এ কাজটি শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, এরপর ইতালি, মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশেও কাজটি হাতে নেওয়া হবে। শিগগিরই আমরা এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। কারণ প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক সময় উত্তরাধিকার ভিত্তিতে দেশে এসে সম্পত্তি বুঝে পেতে কিংবা প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে এনআইডির জন্য দালালদের খপ্পরে পড়েন। তাই তাদের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট দেশেই আমরা এনআইডি সেবা দেবো।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এনআইডি সেবা দেওয়ার জন্য আমাদের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে প্রথমে নাগরিকদের তথ্য নিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করে দেশে তথ্য পাঠাবে। সেগুলো তদন্ত করে কার্ড ছাপিয়ে আবার সংশ্লিষ্ট দেশে গিয়েই বিতরণ করা হবে। এতে প্রবাসী নাগরিকরা হয়রানি থেকে মুক্ত হবেন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে এনআইডি কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর নির্বাচন বর্তমানে এনআইডি বিষয়ক একটি প্রকল্পের মাধ্যমের নাগরিকদের উন্নতমানে এনআইডি বা স্মার্টকার্ডও সরবরাহও করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস