সূত্রগুলো জানায়, ২০১৩ সালের পর থেকে ভোটার হয়েছেন, এমন প্রায় দেড় কোটি নাগরিক স্মার্টকার্ড বা উন্নতমানের এনআইডি না পাওয়ায় তাদের লেমিনেটিং করা এনআইডি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি। কিন্তু কিছু ত্রুটির কারণে সে কাজ এখনো সম্পন্ন করা হয়নি।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ার কমিশন দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছে। এক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে যত কার্ড নির্বাচন কার্যালয়ে পড়ে আছে, সেগুলো আগামী ৩০ জুনের মধ্যেই বিতরণের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, উপজেলা/থানা নির্বাচন কার্যালয়ে অবিতরণকৃত লেমিনেটেড এনআইডি ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৩০ জুনের মধ্যে বিতরণ করে সমাপনী প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এজন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা তাদের আওতাধীন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। একইসঙ্গে পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত সভায় বিতরণের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এজন্য এনআইডি মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ দিতেও বলা হয়েছে ওই আদেশে।
ইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, এনআইডি বর্তমান প্রকল্প অনুযায়ী ওই দেড় কোটি ভোটার সহসাই স্মার্টকার্ড পাবেন না। আপাতত তাদের লেমিনেটিং এনআইডি দিয়েই কাজ চালাতে হবে।
নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ও স্মার্টকার্ড প্রকল্পের আইনি জটিলতা শেষ হলে দেশের সব ভোটারের স্মার্টকার্ড প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তৎকালীন এটিএম শামসুল হুদার কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। এরপর সেই ভোটার কার্ডটিই জাতীয় পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পরবর্তীতে শামসুল হুদা কমিশন ২০১১ সালে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর অ্যানহেন্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিস (আইডিইএ)’ বা স্মার্টকার্ড প্রকল্পের মাধ্যমে সে সময়কার ৯ কোটি ভোটারকে স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য প্রকল্প হাতে নেয়।
সেই ৯ কোটি ভোটারের মধ্যে বর্তমানে সাত কোটি নাগরিককে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে ইসি। যার মধ্যে দেড় কোটি কার্ড এখনো হাতে পায়নি সংস্থাটি। একটি মামলার কারণে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অবার্থার টেকনোলজিজ কার্ডগুলো বুঝিয়ে দিতে পারছে না।
দেশে ভোটার রয়েছে ১০ কোটি ৪৮ লাখের মতো। সেই ৯ কোটির বাইরে নতুন দেড় কোটি ভোটার ও ভবিষ্যতে সব নাগরিককে স্মার্টকার্ড দেওয়ার নতুন প্রকল্প নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সরকারের তহবিল থেকেই এই ব্যয় মেটানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
ইইউডি/এএ