ইসি সূত্র জানায়, গত মার্চে ইসি সচিব (সাবেক) হেলালুদ্দীন আহমদ সিঙ্গাপুরে সম্ভাব্যত যাচাই করে যে প্রস্তাবনা দিয়েছে সে অনুযায়ী দেশটিতে কার্যক্রম হাতে নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আর যুক্তরাজ্যে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যাচ্ছেন যুগ্ম সচিব মো. আবুল কাসেম।
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দুবাই ও চলতি মাসের ২০ তারিখের দিকে সৌদি আবরের বাংলাদেশ দূতাবাসসহ স্থানীয় বাংলাদেশের কমিউনিটি ও সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনায় বসবেন সিইসি। তার আলোকেই পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
এর আগে যুক্তরাজ্যে ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট যুক্তরাজ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে ইসি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের সংশ্লিষ্ট দেশে এনআইডি সরবরাহের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে সিঙ্গাপুরকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রবাসী কম। তাই সেখানেই শিগগিরই পাইলটিং করা হবে। যুক্তরাজ্যেও সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে। কর্মপন্থা ঠিক করার কাজ চলছে বর্তমানে।
এ বিষয়ে ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পুরো কর্মপন্থাটি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের একটি করে লোকাল সার্ভার স্থাপন করা হবে। সেই সার্ভারের অধীনে কয়েকটি টেম্পরারি সার্ভার স্থাপন করা হবে। লোকাল সার্ভারের সঙ্গে টেম্পরারি সার্ভারের সংযোগ থাকবে। আর টেম্পরারি সার্ভারের মাধ্যমেই নাগরিকদের তথ্য ইনপুট দেওয়া হবে।
‘বিদেশ থেকে সেই তথ্য দেশে এনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলায় পাঠানো হবে। সেই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন পাঠাবেন। প্রতিবেদনে সত্যতা মিললেই কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট দেশেই দূতাবাসের মাধ্যমে এনআইডি সরবরাহ করা হবে। ’
প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার পর ২০১৮ সালে এ উদ্যোগ হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর কয়েক দফায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দূতাবাসের সঙ্গে বৈঠক করে সিঙ্গাপুরকেই প্রথম হিসেবে বেছে নেয় ইসি। বিভিন্ন দেশে দুই কোটির মতো প্রবাসী বাংলাদেশি অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেন্স) মো. আবদুল বাতেন বলেন, প্রবাসীদের সংশ্লিষ্ট দেশেই এনআইডি সরবরাহের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
ইইউডি/এএ