বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রংপুর-৩ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এজন্যই ৩ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ৭ অক্টোবর বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা করা যাবে না।
এছাড়া যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের আগের দিন রাত ১২টা থেকে ভোটগ্রহণের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সি ক্যাব, বেবিট্যাক্সি/ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জীপ, পিকআপভ্যান, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো, লঞ্চ, ইজি বাইক, ইঞ্জিনবোট ও স্পীডবোটগুলোর চলাচলের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। তবে, রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে সীমিত আকারে যান চলাচল করবে। এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যানবাহন বা নৌযান ও জরুরি সেবাদানকারী বা এমন যান চলাচলের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য হবে। সাংবাদিক, প্রার্থী ও প্রার্থীর এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষদের গাড়িও এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
আর মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে ৩ অক্টোবর মধ্যরাত ১২টা থেকে ৬ অক্টোবর মধ্যরাত ১২ পর্যন্ত। এ নির্দেশনার ব্যত্যয় হলে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতাও রাখে।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গত ১৪ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সচিবালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রংপুর-৩ আসনটি শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ১ সেপ্টেম্বর উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন।
নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদপুত্র রাহগির আল মাহি এরশাদ (সাদ), বিএনপির রিটা রহমান, স্বতন্ত্র হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, এনপিপির শফিউল আলম, গণফ্রন্টের কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রংপুর-৩ আসনটি সদর উপজেলা এবং ১ থেকে ৮ নম্বর ব্যতীত রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নিয়েছিল ইসি। ১লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট। ভোট পড়েছিল ৫২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
ইইউডি/এএটি