শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল নয়টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৫টায়। ১৭৫টি কেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ করা হয়।
রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোট গ্রহণের জন্য ১৭৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এক হাজার ২৩ জন এবং দুই হাজার ৪৬ জন পোলিং অফিসার কাজ করছেন।
১৭৫টি কেন্দ্রের মধ্যে রংপুর মহনগরের ৪০টি ও সদর উপজেলায় নয়টি। মোট ১ হাজার ২৩টি গোপন কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৪১ হাজার ২২৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ২০ হাজার ৮২৩ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ২০ হাজার ৪০১ জন।
উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদপুত্র রাহগির আল মাহি এরশাদ (সাদ), বিএনপির রিটা রহমান, স্বতন্ত্র হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, এনপিপির শফিউল আলম, গণফ্রন্টের কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামী লীগ নির্বাচন থেকে জোটের কারণে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এরশাদপুত্রের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রিটা রহমান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট। ভোট পড়েছিল ৫২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
রংপুর-৩ আসনটিতে একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই সম্পূর্ণভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ করা হয়।
গত ১৪ জুলাই রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এইচএম এরশাদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ জুলাই ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে ইসি। পরবর্তীতে ১ সেপ্টেম্বর উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৯
আরআইএস/