ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল এ তিন সিটির নির্বাচন একইযোগে সম্পন্ন করা হয়েছিল। সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর।
এই হিসেবে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে আসছে মধ্য নভেম্বরে। আর চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নভেম্বরে ঢাকা সিটির তফসিল দিলে ভোট করতে হবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে। কিন্তু এ সময় স্কুলের পরীক্ষা থাকবে। আবার আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কাজেই নির্বাচনী প্রচার চালাতে ব্যাঘাত ঘটবে।
আবার জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে কর্মযজ্ঞ। সময় রয়েছে জানুয়ারির শেষের ভাগ। আবার ফেব্রুয়ারিতে রয়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। আবার এপ্রিলে থাকছে এইচএসসি পরীক্ষা।
এই অবস্থায় ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কোনো সময় পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। আবার রোজা শুরু হবে মে মাসে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, তিন সিটি নির্বাচন একসঙ্গে সম্পন্ন করাটাই এবার খুব দুরুহ ব্যাপার। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন জুনে বা তার পরে চলে যেতে পারে। আর ঢাকা দুই সিটি ভোট জানুয়ারির শেষ ভাগ করা হতে পারে। আবার ডিসেম্বরের শেষেও কিছুটা সময় রয়েছে। কিন্তু এটা উপযুক্ত নয়।
এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, রমজানের ঈদের পর ছাড়া নির্বাচনের উপযুক্ত সময়ই তো নেই। আবার ঢাকা দুই সিটি ভোট ২০২০ সালের মধ্যে মে মাসের আগেই করতে হবে। স্কুলের পরীক্ষা, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা রয়েছে। ইত্যাদি বিবেচনায় কমিশন এখনও ঠিক করতে পারেনি কোন সময় ভোট হলে ভালো হবে। তবে নভেম্বরে কমিশন বৈঠক হবে। কেননা, এ মাসেই ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে।
২০১৫ সালে ঢাকা উত্তরে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হক। তার মৃত্যুতে পর আরেক ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম বর্তমান মেয়র। আর চট্টগ্রাম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এখনও দায়িত্বরত আছেন আজম নাসির উদ্দিন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই তিন সিটি নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা হতে পারে। যদিও নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে ভবিষ্যতে সব নির্বাচনে সীমিত আকারে এ যন্ত্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। তবে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছেন, কমিশন এখনও তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ইভিএম ব্যবহার হবে কি-না তা নির্ধারণ হবে কমিশন বৈঠকেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
ইইউডি/ওএইচ/