সূত্র জানায়, দীর্ঘ নয় বছর পর ১৪ অক্টোবর লালমোহন পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘদিন পর ভোট হওয়ায় ভোটারদের মধ্যেও বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
এদিকে, পুরো লালমোহন পৌর এলাকায় অলি-গলি ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানারে। আর মাত্র একদিন পরেই শেষ হচ্ছে প্রচার-প্রচারণা। আর তাই শেষ মুহূর্তে ভোটারদের কাছে দৌড়ঝাঁপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রার্থীরা। ভোটকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা যেন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
অপরদিকে, ভোট নিয়ে প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও ভোটের মাঠ শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনী মাঠে প্রার্থীরা বিরামহীন প্রচারণা চালাচ্ছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত লালমোহন পৌরসভায় মোট ভোট কেন্দ্র ১২টি। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ১শ জন। যাদের মধ্যে পুরুষ নয় হাজার ৭০৩ জন এবং নারী নয় হাজার ৯৯৭ জন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সর্বমোট ৬২ প্রার্থী, যাদের মধ্যে মেয়র পদে দু’জন, কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিএনপি উভয় দলের একক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।
বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সোহেল আজিজ শাহিন বাংলানিউজকে বলেন, ভোটের মাঠ ভালো রয়েছে। জনগণও ভোটের অপেক্ষায় আছে। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হলে ধানের শীষ বিজয়ী হবে। বিজয়ী হলেই স্বপ্নের পৌরসভা গড়বো।
এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ মেয়র প্রার্থীর লোকজন বিভিন্নভাবে আমাদের প্রচার-প্রচারণায় কর্মী সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে রির্টানিং কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন লালমোহন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, লালমোহনে ভোটের পরিবেশ বিগত সময়ের চেয়ে অনেক শান্ত রয়েছে। আমাদের কোনো কর্মী কাউকে হুমকি দেয়নি বরং আমরা প্রতিপক্ষদের সহযোগিতা করছি।
এমদাদুল ইসলাম তুহিন আরও বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। বিজয়ী হলে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবো এবং স্টেডিয়াম নির্মাণসহ সব অবকাঠামোর উন্নয়ন করবো।
পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। বিজয়ী হতে পারলে মাদক, সন্ত্রাস দূর করে পুরো ওয়ার্ডকে একটি মডেল ওয়ার্ডে পরিণত করবো।
এদিকে, লালমোহন পৌর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সালমা জাহান বুলু বাংলানিউজকে বলেন, কাউন্সিলর পদে একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের কাছ থেকে সাড়া পেয়েছি। বিজয়ী হলে নারী অধিকার, নারী শিক্ষার উন্নয়নসহ পুরো ওয়ার্ড একটি ডিজিটাল ওয়ার্ডে রূপান্তর করবো। সমাজ থেকে সব ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে ও সন্ত্রাস নির্মূল করবো।
ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মো. কায়সার বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা আলাউদ্দিন আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে সব্বোর্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
এসআরএস