ভোটার হাওয়ার জন্য ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত ফরম-২ পূরণ করতে হয়। আর প্রবাসীদের জন্য বিধিমালায় সংশোধন করে যুক্ত করা হয়েছে ফরম-২(ক)।
প্রবাসীরা বিদেশে অবস্থান করেই ভোটার হবেন, এমনটি ধরে নিয়েই ইসির ওয়েবসাইটে যে ফরমটি দেওয়া হয়েছে সেটি ফরম-২(ক)। সেখানে আর কোনো ফরম নেই। অর্থাৎ দেশে বসবাসরতরাও যদি অনলাইনে ভোটার হতে চান তাদেরও ফরম-২(ক) পূরণ করতে হবে। অথচ এদের জন্য ফরম-২ পূরণ করতে আইনে বলা হয়েছে।
এই অবস্থায় দেশে বসবাসরতরা হার্ডকপি পূরণ করলে পূরণ করবেন ফরম-২ আর অনলাইনে আবেদন করলে পূরণ করবেন ফরম-২(ক)। আর এতে বাবা-মায়ের নামের তথ্যে কিছুটা ঘাটতি বা গরমিল থাকবে।
ফরম-২(ক) এ বাবা ও মায়ের নাম বাংলা ও ইংরেজিতে পূরণ করতে বলা হয়েছে। আর ফরম-২ এ বাবা ও মায়ের নাম কেবল বাংলায় পূরণ করতে হয়।
এ বিষয়ে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক অপারেশন্স মো. আবদুল বাতেন বাংলানিউজকে বলেন, হ্যাঁ, বিষয়টি একটু আলাদা হয়ে গেছে। তবে আমরা যদি এটা এখনই আমলে নিতে যাই, তাহলে প্রবাসীদের কার্যক্রমে একটু বিঘ্ন ঘটবে। তাই প্রবাসীদের কার্যক্রম শুরু হোক। তারপর এটা ঠিক করা হবে। এটা আইনের ব্যত্যয় নয়। বাবা-মায়ের নাম ইংরেজিতে লিখতে হলে সমস্যা-তো নেই।
বর্তমানে যে ভোটার তালিকা করা হচ্ছে তাতে বাবা-মায়ের নাম শুধু বাংলায় লিপিবদ্ধ করা হয়। আমরা বিভিন্ন দূতাবাস থেকে বাবা-মায়ের নামও ইংরেজিতে লিপিবদ্ধ করার জন্য সুপারিশ পেয়েছি। ভবিষ্যতে সবার জন্য এটি চালু করা হবে।
আব্দুল বাতেন বলেন, আমরা অনলাইনে একটি আবেদনের ব্যবস্থা করে রেখেছি। সিঙ্গাপুর অথরিটির অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ায়, মালয়েশিয়াতে শুরু করতে যাচ্ছি। সেখানকার প্রবাসীরা অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করবেন। সেই আবেদন সংশ্লিষ্টদের উপজেলায় পাঠানো হবে। এরপর সেখান থেকে তদন্তে সঠিকতার প্রতিবেদন এলে সংশ্লিষ্ট দেশে আমাদের কর্মকর্তারা গিয়ে আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নিয়ে আসবেন। এরপর স্মার্টকার্ড প্রিন্ট করে দূতাবাসে ডেস্ক বসিয়ে সরবরাহ করা হবে।
মালয়েশিয়ার পর, সৌদি আরব, দুবাই, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যেও আমরা এ কার্যক্রম চালু করবো।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। যার ভিত্তিতেই পরবর্তীতে ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। গড়ে তোলা হয় এনআইডি তথ্যভাণ্ডার। বর্তমানে ৫০টির বেশি সংস্থা-প্রতিষ্ঠান এই তথ্যভাণ্ডার থেকে ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছে। এতে অপরাধী চিহ্নিত করাসহ বহুমুখী সমস্যা সমাধান সহজ হয়ে গেছে। এছাড়াও সহজেই মিলছে নাগরিক সেবা।
ইসির সার্ভারে বর্তমানে ১০ কোটি ৪২ লাখ নাগরিকের তথ্য আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস