সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ১৪ বছর বয়সী নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যারা এনআইডি পাবে কিন্তু ভোটার হবে ১৮ বছর পূর্ণ হলেই।
১০ বছর বয়সীদের মধ্যে বেশির ভাগই আসবে হাইস্কুল থেকে। অর্থাৎ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে উপরের শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তথ্য নেওয়া হবে।
আবার যারা শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থাকবে, তাদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ, থানা ও জেলা পর্যায়ে নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া ঢাকার মতো বড় সিটির বস্তি বা ছিন্নমূল মানুষের জন্যও থাকবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিবন্ধন কেন্দ্র।
এসব কেন্দ্র ও বিদ্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নিয়ে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের তথ্য ভাণ্ডারে যুক্ত করা হবে। এরপর দেওয়া হবে সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্র। আর ১৮ বছর পূর্ণ হলেই তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হবেন ভোটার তালিকায়। আর তখন পাবেন মূল জাতীয় পরিচয়পত্র।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির এনআইডি শাখার পরিচালক অপারেশন্স মো. আবদুল বাতেন বাংলানিউজকে বলেন, এখন এনআইডি ছাড়া তো কোনো কাজ করা যায় না। ব্যাংক একাউন্ট এখন শিক্ষার্থীদেরও খুলতে হয়। এছাড়া পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও এর সঙ্গে জড়িত। তাই সব নাগরিককে এনআইডি দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের আগে থেকেই ছিল।
বর্তমানে ধাপে ধাপে সব বয়সীদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আগামী নভেম্বর থেকেই আমরা ১০ বছর বয়সীদের তথ্য নেব। এক্ষেত্রে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রাথমিকভাবে তাদের সাময়িক এনআইড দেওয়া হবে। পরবর্তীতে ১৮ বছর পূর্ণ হলে মূল এনআইডি পাবে।
তিনি বলেন, তাদের এনআইডি রং আলাদা থাকবে। কেননা, অনেকেই মনে করে এনআইডি থাকা মানেই ভোটা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন। কাজেই সাময়িক এনআইডি পেলেই যেন তারা আবার ভোটকেন্দ্রে ভিড় না করে। একইসঙ্গে তাদের বয়স যে ১৮ বছরের নিচে সেটা বোঝাতেই রং আলাদা করা হবে।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। যার ভিত্তিতেই পরবর্তীতে ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। গড়ে তোলা হয় এনআইডি তথ্যভাণ্ডার। বর্তমানে ৫০টির বেশি সংস্থা-প্রতিষ্ঠান এই তথ্যভাণ্ডার থেকে ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছে। এতে অপরাধী চিহ্নিতকরণসহ বহুমুখী সমস্যা সমাধান সহজ হয়ে গেছে। এছাড়াও সহজেই মিলছে নাগরিকসেবা।
ইসির সার্ভারে বর্তমানে ১০ কোটি ৪২ লাখ নাগরিকের তথ্য আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
ইইউডি/টিএ