মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে অনলাইনে প্রবাসে বসেই ভোটার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ পরামর্শ দেন।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সিইসি।
সিইসি তার বক্তব্যে প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন, অনলাইনে আবেদনের সময় খেয়াল করবেন যেন ভুল না হয়। ভুল হলে কিন্তু আমরা আবেদন নেবো না। আরেকটা কথা হচ্ছে, মধ্যস্বত্বভোগী-দালালদের খপ্পরে পড়বেন না। শ্রমিক, বৃদ্ধ যারা পিছিয়ে আছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন দালালদের খপ্পরে পড়ে। কঠিন কিছু হলে কারও সহায়তা নিয়ে ফরমটা অনলাইনে পূরণ করে নেবেন।
অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য services.nidw.gov.bd-এ গিয়ে আবেদন করতে হবে। মোট ছয়টি ডকুমেন্ট দিতে হবে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার জন্য। এগুলো হলো পাসপোর্টের ফটোকপি, বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের ফটোকপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শনাক্তকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্টের কপি, বাংলাদেশে বসবাসকারী রক্তের সম্পর্কের কোনো আত্মীয়ের নাম, মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বরসহ অঙ্গীকারনামা, বাংলাদেশে কোথাও ভোটার হননি মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র।
এ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসির সম্মেলন কক্ষে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর, এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন দেশে দেড় কোটির মতো বাংলাদেশের নাগরিক বসবাস করছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। তার ভিত্তিতেই ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। গড়ে তোলা হয়েছে এনআইডি তথ্যভাণ্ডার। বর্তমানে ৫০টির বেশি সংস্থা-প্রতিষ্ঠান এই তথ্যভাণ্ডার থেকে ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছে। এতে অপরাধী চিহ্নিতকরণসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সহজ হয়ে গেছে। ইসির সার্ভারে বর্তমানে ১০ কোটি ৪২ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
ইইউডি/একে