মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং বাংলাদেশের প্রধান
নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, আমি গর্বিত যে প্রবাসীদের নিয়ে আমরা কাজ করছি।
মন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করে বলেন, যারা প্রবাসে কাগজপত্রের বৈধতার সমস্যায় ভোগেন তাদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে যেন
সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
হাইকমিশনার জানান, প্রবাসে দীর্ঘ চাকরিজীবনে সর্বত্রই তিনি শুনেছেন প্রবাসীরা জাতীয় পরিচয়পত্র চায় এবং ভোট দিতে চায়। আজ সেই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে যা ঐতিহাসিক। প্রবাসীদের কল্যাণে এই কার্যক্রম শুরু করার জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে। এই কার্যক্রমে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনাররা এ কার্যক্রম শুরু ও সফলতা কামনা করেন।
সিইসি বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক বিশ্বের যেখানেই থাকুক তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের আওতা ও ভোটার তালিকার আওতায় আসবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হিসেবে সারাবিশ্বে বিচরণ করবে। জাতীয় পরিচয়পত্র অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ এবং জীবনের প্রায় সবক্ষেত্রেই এটির দরকার হয়।
তিনি বলেন, প্রবাসে অবস্থানরত ব্যক্তিরা একটি পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে তাদের নাম নিবন্ধন করবে। বাংলাদেশ থেকে এর সত্যতা যাচাই করার পরে তাদের প্রবাসে থেকেই আঙুলের ছাপ, চোখের স্ক্যান ও ছবি সংগ্রহ করা হবে। তারপর বাংলাদেশ থেকে প্রিন্ট করে আবার মালয়েশিয়ায় স্মার্টকার্ড সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি
ভোটার তালিকার নাম নিবন্ধিত হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমদ মনিরুস সালেহীন, যুগ্ম-সচিব ফজলুর রহমান, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান ও হাইকমিশনের সব কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
জিসিজি/এএ