রোববার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম একথা বলেন।
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, ফ্রান্সের অবার্থার টেকনোলজিস নামে প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা স্মার্টকার্ড তৈরি করে নিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি আমাদের আড়াই কোটি স্মার্টকার্ড তৈরি করে দেবে। এতে নতুন ভোটার, সংশোধন, স্থানান্তর ইত্যাদির সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যাবে। পরবর্তীকালে যখন যা প্রয়োজন হবে, তাই তৈরি করে নেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে আমাদের সঙ্গে কয়েকটি দেশ যোগাযোগ করেছে। ২০২১ সালের জুনের পর স্মার্টকার্ড আমরা রপ্তানিও করতে পারবো।
স্মার্টকার্ড কার্যক্রম গ্রহণের সময় বলা হয়েছিল, এর মাধ্যমে সমন্বিত সেবা পাওয়া যাবে- সে বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের স্মার্টকার্ডে মেমরির বিরাট অংশ ফাঁকা রয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকের সেবা থেকে শুরু করে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের সেবাই দেওয়া যাবে। এগুলো ভবিষ্যতে সন্নিবেশ করা হবে।
ইসির সার্ভারে বর্তমানে ১০ কোটি ৪২ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে।
স্মার্টকার্ড প্রস্তুতকারী ফরাসি কোম্পানির সঙ্গে ২০১৫ সালে তৎকালীন ৯ কোটি ভোটারকে স্মার্টকার্ড সরবরাহ করার জন্য চুক্তি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি ১৮ মাসের চুক্তির সময় অনুযায়ী কার্ড দিতে পারেনি। ফলে এই কার্ডে নাগরিকের তথ্য ইনপুট দিয়ে বিতরণে যেতেও ইসির বিলম্ব হয়। এখনও সেই নয় কোটি ভোটারকে কার্ড দিতে পারেনি সংস্থাটি।
সেই নয় কোটির বাইরে বর্তমানে দেড় কোটির মতো ভোটার রয়েছে। এছাড়াও আরো কিছু যুক্ত হবে চলতি হালনাগাদে। সবমিলিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে অতিরিক্ত কার্ড প্রয়োজন হবে দুই কোটির মতো। সে হিসেবেই বিএমটিএফ’র কাছ থেকে আড়াই কোটির মতো কার্ড তৈরি করে নেবে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
ইইউডি/এএ