রোববার (২২ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।
কেএম নূরুল হুদা বলেন, ভোটারদের উদ্দেশে বলছি, আপনারা ভোটকেন্দ্রে আসেন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) এই দুই সিটির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সিইসি বলেন, বর্তমান মেয়ররা নির্বাচন করতে চাইলে তাদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। আর করপোরেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি নির্ধারণ করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা আদালতে গেলে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনে ব্যক্তি কখন নির্বাচন হলো কি না হলো, সেটা নিয়ে কিছু বলা নেই আইনে। সিটির মেয়াদের কথা আইনে বলা আছে। তাই আইনি জটিলতা হবে না।
নতুন ভোটার হবে ৩১ জানুয়ারির পর। তাই নতুন ভোটাররাও কোনো আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারবে না।
এই নির্বাচন কি সব দলের জন্য, নাকি একটি দলকে জেতানোর জন্য- এমন প্রশ্নের জবাবে কেএম নূরুল হুদা বলেন, এটা কোনো কথা হলো। নির্বাচন কমিশন কোনোদিন একটি দলের জেতার জন্য কাজ করে? সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে। এটা চিন্তা করার অবকাশ নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচনে সেনা থাকবে না। পুলিশ, বিজিবি থাকবে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন পরিচালনার জন্য প্রতি কেন্দ্রে দুই জন করে সেনা সদস্য থাকবে।
দলের সবস্তরে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য পদ পূরণের জন্য ২০২১ সাল পর্যন্ত সময় ঠিক করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে সিইসি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী এটা আইনসিদ্ধ হয়নি। আমাদের আইন অনুযায়ী, দলগুলোকে ২০২০ সালের মধ্যে সবস্তরে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য পদ পূরণ করতে হবে। দল কীভাবে কী করছে, সেটা তাদের ব্যাপার। কোনো দল যদি শর্তটি পূরণ করতে না পারে, তখন আমরা বিবেচনা করবো। এতো অগ্রিম কিছু বলা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস