নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, মেয়র পদপ্রার্থীরা ২০ লাখের বেশি ভোটারের কোনো এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা 'নির্বাচনী ব্যয়' করতে পারবেন। এছাড়া 'ব্যক্তিগত ব্যয়' হিসেবে ব্যয় করতে পারবেন সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা।
এ অনুসারে, ঢাকার দুই সিটি ভোটেই মেয়র প্রার্থীরা সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫২ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। কেননা, ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন।
অন্যদিকে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ডিএসসিসিতে ভোটার সংখ্যা মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন।
এক্ষেত্রে উত্তরে ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা দাঁড়ায় ১.৬৬ টাকা। অন্যদিকে দক্ষিণে তা দাঁড়ায় ২.১১ টাকা।
এদিকে আসন্ন দুই সিটি ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তারা কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের ব্যয়সীমাও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীরা অনধিক ১৫ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার এক থেকে ৩০ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার এক থেকে ৫০ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সার্বোচ্চ ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার এক থেকে তার বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারেন।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীকে প্রতিদিনের ব্যয়ের সব বিলের কপি, ব্যাংক থেকে উত্তোলিত অর্থের হিসাব বিবরণী, ব্যক্তিগত খরচের মোট হিসাব ইত্যাদি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে বিজয়ী প্রার্থীদের গেজেট প্রকাশে ৩০ দিনের মধ্যেই হিসাব জমা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। দিন অনুসারে ওই হিসাব এখন থেকেই সংরক্ষণে রাখতে হবে প্রার্থীদের।
(ঢাকা উত্তর সিটি ভোটে ওয়ার্ডভিত্তিক কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যয়সীমা: Dhaka North City Candidate Cost)
(ঢাকা দক্ষিণ সিটি ভোটে ওয়ার্ডভিত্তিক কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যয়সীমা: Dhaka South City Candidate Cost)
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
ইইউডি/এইচজে