মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছে সংগঠন দু’টি।
৩০ জানুয়ারি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা হওয়ায় এই দাবি জানায় তারা।
ইসি সচিবের কাছে লেখা পূজা উদযাপন পরিষদের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, উভয় সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। একটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এবং সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য অন্ততপক্ষে একদিন আগেই নির্বাচন পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। এজন্য একই দিনে পূজা ও ভোট কীভাবে হবে তা বোধগম্য নয়। এ অবস্থায় সুষ্ঠুভাবে পূজা সম্পাদনের লক্ষ্যে ৩০ জানুয়ারি নির্ধারিত ভোটের দিন পিছিয়ে অন্য কোনো দিন নির্ধারণ করা হোক। অন্যথায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজা হবে সেখানে ভোটকেন্দ্র না করার অনুরোধ করছি।
পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জীর সই করা চিঠিতে আরও বলা হয়, আশা করবো নির্বাচন কমিশন তার গৃহীত ব্যবস্থায় কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এছাড়া, প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নুরুল হুদার কাছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা-পার্বণ এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয় তিথি ও গণনার মাধ্যমে। সে মতে, পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্জিকা মতে, এবছর ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি দু’দিন পূজা হবে। তাই নির্বাচন পেছানোর অনুরোধ করা হয়েছে স্মারকলিপিতে।
এদিকে, গত রোববার সরস্বতী পূজার কারণে ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পেছাতে হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা এবং পরে ভোটের সময় না থাকায় জানুয়ারিতেই ভোট করতে হচ্ছে ইসিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
ইইউডি/একে