ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কাউন্সিলরদের পছন্দ ঘুড়ি, লাটিম, ঠেলাগাড়ি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
কাউন্সিলরদের পছন্দ ঘুড়ি, লাটিম, ঠেলাগাড়ি প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে খুশি প্রার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঘুড়ি, লাটিম, ঠেলাগাড়ি, আনারস, চশমা- ঘুরেফিরেই শোনা যাচ্ছিল শব্দগুলো। কেউ পাচ্ছেন, কেউ পাচ্ছেন না। তবে আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এসব প্রতীকই। সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের পছন্দের শীর্ষে ঘুড়ি, লাটিম, ঠেলাগাড়ির প্রতীক, আর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের পছন্দের ক্ষেত্রে সবার আগে শোনা গেছে আনারস, চশমা ও বইয়ের নাম।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডিএসসিসি নির্বাচনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।  

নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, সাধারণ কাউন্সিলর পদে মোট ১২টি প্রতীক বরাদ্দ রয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে এয়ারকন্ডিশনার, করাত, কাঁটা চামচ, ঘুড়ি, ঝুড়ি, টিফিন ক্যারিয়ার, ট্রাক্টর, ঠেলাগাড়ি, ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট, মিষ্টি কুমড়া, রেডিও এবং লাটিম। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রতীক বরাদ্দ রয়েছে মোট ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে আনারস, গ্লাস, চশমা, জিপ গাড়ি, ডলফিন, বই, বেহালা, মোবাইল ফোন, আলমারি এবং হেলিকপ্টার। শুক্রবার সকাল থেকে লটারির মাধ্যমে বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া চলছে।

নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেহের মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণ কাউন্সিলরদের মধ্যে ঘুড়ি ও লাটিমের প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। ঠেলাগাড়ির প্রতিও আগ্রহ রয়েছে অনেকের। যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের অর্ধেকই ঘুড়ি ও লাটিম প্রতীক চেয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে আনারস, চশমা ও বই।

‘লটারির মাধ্যমে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এটি অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হচ্ছে। ’

৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনের পছন্দের প্রতীক ছিল ঠেলাগাড়ি। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। যার মধ্যে তিনজনের পছন্দ ছিল ঘুড়ি। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের পছন্দের প্রতীক ঘুড়ি। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন, যার মধ্যে দু’জনের পছন্দের প্রতীক ঝুড়ি। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের পছন্দের প্রতীক ছিল ঘুড়ি। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন, যার মধ্যে দু’জনের পছন্দের প্রতীক ছিল ঘুড়ি।

গ্লাস প্রতীক চেয়ে পাওয়ার পর বেশ আনন্দিত সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারা তাহের মানু। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতীক যত মানুষের কাছাকাছি হবে, ভোট চাইতে তত সুবিধা। এজন্য গ্লাস চেয়ে আবেদন করেছিলাম, পেয়েছি। ভালো লাগছে।

 প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে খুশি প্রার্থীরা।  ছবি: বাংলানিউজ

৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শফিকুর রহমান সাইজুল ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে গতবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও সেই প্রতীক আবেদন করেছিলেন। কিন্তু লটারিতে মিলেছে ট্রাক্টর। তিনি বলেন, আমি মানুষের জন্য কাজ করেছি। এখানে মার্কা বিষয় না, সম্পর্কটাই মূল। তার জের ধরেই ইনশাল্লাহ জিতবো।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পছন্দের দিকেও নজর ছিল অনেকের। ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে আলমগীর হোসেনও ঠেলাগাড়ি প্রতীক আবেদন করে পেয়েছিলেন। কিন্তু আরেক প্রার্থী সেলিম রেজার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি তাকে ঠেলাগাড়ি প্রতীক দিয়ে নিজে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন।

এদিকে, প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রচারণায় নেমে গেছেন প্রার্থীরা। অনেকেই রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজের প্রতীক নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতীক বরাদ্দের স্লিপ নিয়ে ছবিও তুলেছেন অনেকেই। আর সেলফি তো ছিলই।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাসিবুর রহমান মানিক নিজের নির্বাচনী প্রতীক রেডিও হাতে নিয়ে কথা বলছিলেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। তিনি বলেন, গতবার এই রেডিও প্রতীক নিয়েই পাস করেছিলাম। এবারও করবো। জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। ইনশাল্লাহ আগামী নির্বাচনে মেয়র পদে শেখ ফজলে নূর তাপস ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলরা জয়লাভ করবেন।

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
ডিএন/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।