ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

৪২ নাগরিকের করা অভিযোগ অসত্য: সিইসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
৪২ নাগরিকের করা অভিযোগ অসত্য: সিইসি ব্রিফিং/ ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি বরাবর ৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের করা অভিযোগ অসত্য, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে বিকেল ৪টায় ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, সে বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। সেই বিভ্রান্তি যেন না হয় তার জন্যই আমরা আজ আমাদের বক্তব্য দিচ্ছি। আমাদের বক্তব্য এরকম যে, নির্বাচন প্রশিক্ষণের জন্য বক্তৃতা না দিয়ে বিশেষ বক্তা হিসেবে সম্মানি গ্রহণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি অসত্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ১৫ জন বিশেষ বক্তার জন্য কর্মপরিকল্পনায় ২ কোটি টাকার বরাদ্দই ছিল না। সেখানে নির্বাচন কমিশনারদের ‘বিশেষ বক্তা হিসাবে বক্তৃতা দেওয়ার নামে ২ কোটি টাকার মতো আর্থিক আসদারণ ও অনিয়ম’ মর্মে অভিযোগটি অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে, যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।  

‘কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ৩৩৯টি শূন্য পদে টেলিটকের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদনের বিষয়ে পাঁচটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদকে নৈর্ব্যক্তিক এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ক্রস চেকের মাধ্যমে দুই কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ৯২২ টাকা ৮০ পয়সা পরিশোধ করা হয়েছে। আয়কর ও ভ্যাট বাবদ এক কোটি ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩ টাকা ৬০ পয়সা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে। প্রার্থীদের নিকট থেকে ফি বাবদ আদায়করা দুই কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ৪৫০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। কোনো প্রমাণ ছাড়াই চার কোটি আট লাখ টাকা দুর্নীতি করা হয়েছে মর্মে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। নিয়োগ প্রক্রিয়াটি ছিল নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত। ’

লিখিত বক্তব্য পাঠ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করা, ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারে অসদাচরণ ও অনিয়ম, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়মসহ মোট পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ অস্বীকার করেন।  

বিলাসবহুল গাড়ি তো নয়ই বরং প্রাধিকারভুক্ত গাড়িই নির্বাচন কমিশন তিন বছর ৬ মাস ধরে পায়নি বলেও দাবি করেন সিইসি।

তবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে চাইলে অনুমতি দেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার।  

এসময় তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন>> ইসির দুর্নীতি তদন্তে রাষ্ট্রপতির কাছে ৪২ নাগরিকের চিঠি

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
এসএইচএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।