ঢাকা, বুধবার, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ মে ২০২৪, ২০ জিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

দাগনভূঞা পৌর নির্বাচন: ফারুকের হ্যাটট্রিক ঠেকাতে চান স্বপন

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
দাগনভূঞা পৌর নির্বাচন: ফারুকের হ্যাটট্রিক ঠেকাতে চান স্বপন

ফেনী: আগামী ১৬ জানুয়ারি ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন এ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে শেষ পর্যায়ের প্রচার-প্রচারণা।

মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমর্থিতসহ চার মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলররা।  

মাঠ পর্যায়ে কথা বলে জানা যায়, ভোটে লড়াই হবে মূলত আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ওমর ফারুক খান ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান স্বপনের মধ্যে। এর মধ্যে ওমর ফারুক গত দুইবারের মেয়র। এবার জয় লাভ করলে তিনি মেয়র পদে হ্যাটট্রিক করবেন। অপর দিকে সাইফুর রহমান স্বপন এ নিয়ে দ্বিতীয়বার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

ওমর ফারুক খানের প্রত্যাশা এবারও তিনি জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জনগণ তাকেই ভোট দেবে।  

অপরদিকে সাইফুর রহমান স্বপন বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হবেন। তার মতে, নৌকা নয় বরং এ অঞ্চলের মানুষের আস্থা ধানের শীষ প্রতীকেই। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয়ের হ্যাটট্রিক ঠেকাতে চান বিএনপির এ প্রার্থী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি ভোট উৎসবকে কেন্দ্র করে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নির্বাচনকে ঘিরে সরকারদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উচ্ছ্বাস।  

অপরদিকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা পাওয়ার অভিযোগ তুলছে বিএনপি সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান দুই প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া সাইফুর রহমান স্বপন অভিযোগ করেছেন, তার কর্মী-সমর্থকদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওমর ফারুক খান এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, নির্বাচন এলেই বিএনপি মিথ্যাচার করে। এটি তাদের পুরনো অভ্যাস।

অন্যদিকে প্রার্থীদের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড নিয়ে মাথাব্যথা নেই ভোটারদের। তারা বলছেন, যিনি পৌর এলাকার উন্নয়ন করবেন তাকেই ভোট দেওয়া হবে। তিনি যে দলেরই হোক।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান স্বপন অভিযোগ করেন, তার ভোটারদের, দলীয় নেতা ও ধানের শীর্ষ কর্মীদের আওয়ামী লীগ নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। নেতাকর্মীরা একদিন প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিলে পরের দিন তাদের আর পাওয়া যায় না। তাদের গোপনে হুমকি দিয়ে নিষেধ করছে আওয়ামী লীগের লোকেরা। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এছাড়া ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে সংশয় রয়েছে স্বপনের। ইভিএমের স্বচ্ছতা, প্রয়োগ, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার প্রত্যাশা করেন তিনি।

স্বপনের অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ওমর ফারুক খান বলেন, আগের নির্বাচনে স্বপন মিথ্যাচার করেছেন সেটি পৌরবাসীর অজানা নয়। নির্বাচন এলেই তারা মিথ্যাচার করে। এটি বিএনপির পুরনো অভ্যাস। আমরা তাদের প্রচার-প্রচারণায় বা তার সমর্থকদের কোনো ধরনের বাধা, হুমকি-ধামকি দিচ্ছি না। আমরা চাই অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ইভিএম ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক মানুষকে তার ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে মেয়র ও পাঁচ কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী।  

তিনি বলেন, নির্বাচনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। সব প্রার্থীর সহযোগিতা পেলে একটি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে।

নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক খান, বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান স্বপন, জাতীয় পার্টির বিনোদ বিহারী ভৌমিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক আজিজ খান।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১ 
এসএইচডি/পিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।