ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সিরাজগঞ্জ-৬ আসন শূন্য ঘোষণা, ভোটের প্রস্তুতি ইসির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১
সিরাজগঞ্জ-৬ আসন শূন্য ঘোষণা, ভোটের প্রস্তুতি ইসির

ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. হাসিবুর রহমান স্বপনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। ফলে শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম গত ২ সেপ্টেম্বর আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য জনাব মো. হাসিবুর রহমান স্বপন গত ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করায় সিরাজগঞ্জ-৬ আসনটি ওই তারিখে শূন্য হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, আসন শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ হওয়ায় ভোটের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ৮৬-তম কমিশন বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হতে পারে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে কমিশন বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

সংবিধান অনুযায়ী, কোনো আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়। তবে দ্বৈব দুর্বিপাক থাকলে অতিরিক্ত নব্বই দিন সময় নিতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। ২০২০ ও ২০২১ সালে বেশ কিছু নির্বাচনে করোনার প্রকোপ বাড়ায় এ ক্ষমতার ব্যবহার করেছেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা। তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আর অতিরিক্ত সময় নিতে চায় না কমিশন। বরং পাঁচ মেয়াদ পূর্তির আগেই ঝুলে থাকা সকল নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় ইসি। ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু ২ সেপ্টেম্বর আসনটি শূন্য হয়েছে, তাই ভোট করতে হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। কেননা, এদিন নব্বই দিন পূর্ণ হবে। আর ডিসেম্বরে মধ্যেই সকল নির্বাচন শেস করতে চায় ইসি।

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনটি শাহজাদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসন থেকে হাসিবুর রহমান দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগে যোগ দিলে ১৯৯৮ সালে সংসদ সদস্য পদ হারান। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি শিল্প উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পরে পৌরসভার মেয়র হয়েছিলেন। দেশের ইতিহাসে একেবারে গ্রাম পর্যায়ের রাজনীতি থেকে উঠে এসে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারীদের মধ্যে তিনিও একজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।