ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সোনাতলা পৌরমেয়র জাহাঙ্গীর আলম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২১
সোনাতলা পৌরমেয়র জাহাঙ্গীর আলম

বগুড়া: বগুড়ার সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু (নারকেল গাছ) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রির্টানিং কর্মকর্তা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এর আগে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পদ্ধতিতে একটানা ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তত ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা।

নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু নারকেল গাছ প্রতীকে ১১টি কেন্দ্রে মোট ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৬৩ এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত সাহিদুল বারী খান রব্বানী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২২১ ভোট। আর জগ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সাকিল রেজা বাবলা পেয়েছেন ১২৮৬ ভোট। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছেন ১৯ হাজার ৫২৩ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৪ হাজার ৪৭০ জন। যা শতকরায় ৭৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এছাড়া কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ১নং ওয়ার্ডে নিপুন আনোয়ার কাজল, ২নং ওয়ার্ডে তরিকুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ডে রেজাউল করিম, ৪নং ওয়ার্ডে হারুনুর রশীদ, ৫নং ওয়ার্ডে তাজুল ইসলাম মন্ডল, ৬নং ওয়ার্ডে আবু বক্কর সিদ্দীকি রবিউল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডে মশিউর রহমান রানা, ৮নং ওয়ার্ডে জামাল উদ্দিন তালুকদুার ও ৯নং ওয়ার্ডে আবু জাফর ইসলাম চপল। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হয়েছেন কুলসুম বেগম, কোহিনুর বেগম ও শাহিদা বেগম।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোনাতলা পৌরবাসী এবার প্রথম ইভিএমে ভোট দিয়েছেন ৷ এখানে মোট ১১টি ভোট কেন্দ্রে ৭০টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে একটানা ভোট গ্রহণ চলে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ১৯ হাজার ৫২৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১০ হাজার ১১৯ ও পুরুষ ভোটার রয়েছে ৯ হাজার ৪০৪ জন। এতে মেয়র পদে তিনজন এবং কাউন্সিলর পদে ৪০ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে লড়াই করেছেন ১১জন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র  নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম শাহ বলেন, ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১ জন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাবের টহল টিম ২ প্লাটন, মোবাইল টিম ৫ প্লাটন, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১ প্লাটন, স্ট্যান বাই ১ প্লাটন, থানা পুলিশ ৬০জন, অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ২২২ ও ৮৯ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।  

উল্লেখ্য, এই পৌরসভায় ২০১৬ সালে নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক প্রার্থী সাহিদুল বারী খান রব্বানীকে ৮৫ ভোটে পরাজিত করে মেয়র হয়েছিল বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু ৷ এবারও পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২১
এএটি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।