ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইউপি নির্বাচন

সিংগাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার লাগাতে বাধা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২১
সিংগাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার লাগাতে বাধা ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন নির্বাচনে জেলার সিংগাইরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কিছু কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটছে আর এর প্রেক্ষিতে চান্দহর ইউপির দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীসহ তাদের অনুসারীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ক্ষমাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের পোস্টার ও ক্যাম্পগুলো ভাঙচুর এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলেও একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন।

তবে সরকার দলীয় প্রার্থীরা বলছেন তাদের জনপ্রিয়তার সামনে তারা তুচ্ছ আর ভোট যুদ্ধে হেরে যাওয়ার ভয়ে আগে থেকেই মিথ্যাচার করছে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে  জানা যায়, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে চেয়ারম্যন পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়া বায়রা ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় দেওয়ান জিন্নাহ লাঠু দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ১১টি ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে ২৯৭ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১০২ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। দুইটি ইউনিয়নে একজন সাধারণ সদস্য ও একজন সংরক্ষিত নারী সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

জানান যায়, চান্দহর ইউনিয়নে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের (চেয়ারম্যান) পোস্টার লাগাতে থাকে ঐ সময় ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শওকত হোসেন বাদল, রায়হান, হাবিব মাহমুদ শিবলীসহ আরও কয়েকজন পোস্টার লাগাতে বাধা দেন।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস) আফজাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন সেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলার শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম এখন কৃষক লীগের জেলা কমিটির সদস্য। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল নিজে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে দমন করার চেষ্টা করছে। সে কারণে আমি রিটার্নিং অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমার জনপ্রিয়তা দেখে বর্তমান চেয়ারম্যানের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।

আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঘোড়া মার্কা) রবিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ করেছি। তারপর বেশ কিছু বছর দেশের বাহিরে ছিলাম। দেশে এসে করোনার সময় খেঁটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াই এবং তাদের অনুপ্রেরণায় নির্বাচনে অংশ নেই। নির্বাচনে আসার পরে বর্তমান চেয়ারম্যান নানা ভাবে নির্বাচনী কাজে বাধা দিচ্ছেন। এই জন্য লিখিত অভিযোগ করেছি যাতে করে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বাংলানিউজকে বলেন, নৌকার জনপ্রিয়তা দেখে ওরা পাগল হয়ে গেছে বলেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। আমি বিএনপি জামায়েত সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছি। আমাকে সাধারণ জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন এবারও এমনটাই হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে তাদের পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়া ও হুমকির বিষয়টা মিথ্যাচার, তারা যদি চায় আমি আমার নিজের লোক দিয়েই তাদের পোস্টার লাগিয়ে দিবো বলেও জানান তিনি।

রিটার্নিং অফিসার (সিংগাইর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার) এ বি এম শাহিনুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমার কাছে ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছি। এছাড়া এই রকম কোনো অভিযোগ পুনরায় পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪,২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।