নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তার নিজ দলের সংসদ সদস্যকে (এমপি) গডফাদার বলেছেন। বিষয়টি তাদের দলের নিজস্ব ব্যাপার।
‘যেখানে আমি জড়িত সেখানে আমার বক্তব্য স্পষ্ট। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী তিনবার বলেছে তৈমূর জেতার মতো ক্যান্ডিডেট। সে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমি বলি প্রধানমন্ত্রীও নারায়ণগঞ্জের ভোটার হলে আমাকেই ভোট দিতেন। জনগণের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততাকে তিনি মূল্যায়ন করতেন। ’
রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মিশনপাড়ায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৈমূর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইভী আজ নির্বাচন না করলে তিনি আমার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক হতেন। এখন নির্বাচনের মাঠে তিনি নিজে দলের ব্যাপারে আরও কথা বলেছেন। তিনি শুধু সরকারি দলকে বিতর্কিত করেননি তিনি আমার নেত্রীকেও অপমান করেছেন। তিনি বলেছেন দুই নেত্রী দেশকে ধ্বংস করেছে। এ দুই নেত্রীকেও তিনি ছাড় দেননি, আমাকে কী ছাড় দেবেন। সাবেক মেয়র হিসেবে তার নিজ বক্তব্যে আরো সাবলীল ও সাবধান হওয়া উচিত।
তৈমূর বলেন, তিনি তার ও আমার নেত্রীর সমালোচনা করেছেন। তার যেটা ভালো লাগবে না সেটার বিরুদ্ধে তিনি যা খুশি বলে যাবেন এটা ঠিক না।
তিনি বলেন, আমি নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত। আমি কোনো দলের ব্যানারে দাঁড়াইনি। আমাকে মানুষ দলমত নির্বিশেষে সমর্থন দিচ্ছে। পত্রিকায় আপনারা দেখেছেন জাতীয় পার্টি বিএনপিসহ অনেকেই আমার সঙ্গে ছিলেন। কাল রাতে ধামগড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। ট্রাকে ট্রাকে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে নৌকার নির্বাচন করার জন্য। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভয়ে মরে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর এ নীতিতে অটল থাকবে।
তৈমূর বলেন, স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় প্রতীকে করায় মানুষ অভ্যস্ত না। এখানে নির্বাচনটা হচ্ছে নাসিকের ব্যর্থতা ও ঠিকাদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এখনও সেই ঠিকাদাররা নির্বাচন করছে।
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে সবাই আছে। তারা সুপেয় পানি চায়, তারা জলাবদ্ধতা মুক্ত শহর চায়। তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। ঢাকার নেতাদের চিন্তা বাদ দেওয়া উচিত। রাজনীতিতে বাস্তবতা ও জনগণের চাহিদা বিবেচনা করে রাজনীতির মাঠে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২২
আরবি