ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নারায়ণগঞ্জে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
নারায়ণগঞ্জে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। পুরো নির্বাচনের ভোট নেওয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

নির্বাচন চলাকালে তেমন কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটলেও ইভিএমে ভোট দিতে অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়েন। আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় অনেককেই ভোট না দিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। তবে যাদের আঙ্গুলের ছাপ মেলেনি, তাদের বেশির ভাগের ভোট প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সহায়তায় নেওয়া হয়েছে।

ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন এবং ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদের সাত প্রার্থী হলেন- খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেওয়াল ঘড়ি), স্বতন্ত্র (বিএনপি নেতা) তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া) এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা)।

এবার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। মোট ১৯২টি ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ৩৩৩টি ভোটকক্ষে ভোট নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে মাঠ প্রশাসন।

২০১১ সালে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর নাসিকে এ নিয়ে তৃতীয়বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমবার ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬ সালে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে এবং এবার ভোট হয় ইভিএমে।

প্রথমবার নির্দলীয় ভাবে ভোট হয়। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন চালুর পর এটি দ্বিতীয় নির্বাচন।

নাসিক নির্বাচনের পাশাপাশি রোববার একটি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন ও পাঁচ পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণও করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেগুলোতেও চলছে ভোটগণনার কাজ।
 

টাঙ্গাইল-৭ উপ-নির্বাচন: টানা চারবারের এমপি মো. একাব্বর হোসেনের র্মত্যুতে শূন্য হওয়া টাঙ্গাইল-৭ আসনে অনুষ্ঠিত হয়েছে উপ-নির্বাচন। এতে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খান আহমেদ শুভ (নৌকা), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জহির (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রূপা রায় চৌধুরী (ডাব) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম নুরু (মটরগাড়ি)।

নির্বাচনে মোট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। ১২১টি ভোটকেন্দ্রের ৭৫৬টি ভোটকক্ষে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পাঁচ পৌরসভা: এদিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী, নোয়াখালী, যশোরের ঝিকরগাছা, নাটোরের নাটোর ও বাগাতিপাড়া পৌরসভা নির্বাচনও রোববার অনুষ্ঠিত হয়। এসব পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ২৬ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ১৬ জন স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যরা বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।