ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৮ মে ২০২৪, ১৯ জিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএমে ভোট কম পড়ার কারণ খতিয়ে দেখবে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
ইভিএমে ভোট কম পড়ার কারণ খতিয়ে দেখবে ইসি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতি এবং ভোট কম পড়ার কারণ এক সপ্তাহের মধ্যে খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার নির্বাচন ভবনে এসব কথা বলেন।

ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে তিনি আরও বলেন, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতি ছিল। এতে ভোট কম পড়েছে। ৫৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের যে তথ্য পেয়েছি, তাতে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। কোনো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়নি।

ব্যালট পেপারে ভোট বেশি পড়লেও ইভিএমে কম পড়ার কারণ জানতে চাইলে হুমায়ুন কবীর বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ ম্যাচ করে না। এতে ভোট দিতে অসুবিধা হয়। ধীর গতি হয়। আমরা নির্বাচনের আগে মক ভোট নেই। প্রত্যাশা থাকে ভোটাররা আসবেন। কিন্তু তারা অনেকে আসেন না। আমাদের মা, বাবা যারা থাকেন, ভোট দিতে এলে তাদের বোঝাতে সময় লেগে যায়। ফলে বাইরে দীর্ঘ লাইন হয়। অনেক ফেরত চলে যান।

ভোটাররা যাতে অপেক্ষা না করেন, ফেরত না যান সেজন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে মতামত চেয়েছি। এছাড়া টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যেই বৈঠকে বসবো। কিভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণের গতি বাড়ানো যায়, ভোট পড়ার হার বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা যেটা দেখেছি, অনেক জায়গায় কাগুজে ব্যালটের পরিবর্তে নির্বাচনে ইভিএম চেয়েছে। এতে এনআইডি আর আঙ্গুলের ছাপ না মিললে কোনোভাবেই ভোট দেওয়া যায় না। এই কারণে মাঠ কর্মকর্তাদের ইভিএমের প্রতি ঝোঁক বেশি। কাগুজে ব্যালটের ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ। আর ইভিএমে প্রক্রিয়া বেশি। তবে মেশিনে কোনো জটিলতা নেই।

ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ২২টি জেলার ৪২টি উপজেলায় মোট ২১৮টি ইউপিতে ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচন হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ১৯৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৭ হাজার ৮৪৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২ হাজার ৫৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১০০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩২ জন; মোট ১৪৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ভোটগ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৮৬টি কেন্দ্রের ১৩ হাজার ৩০৫টি কক্ষে। এতে মোট ৪১ লাখ ৮২ হাজার ২৬৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন।

এই পর্যন্ত তফসিল দেওয়া হয়েছে, ৪ হাজার ১৩৮টি ইউপিতে। টোটাল ইউপি হলো ৪ হাজার ৫৭৪ টি। ৪৩৬ টি ইউপি নিয়ে মামলা ও সীমানা জটিলতা থাকায় নির্বাচন করা যায়নি।

এর আগে, পাঁচটি ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করেছে ইসি। সপ্তম ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এবং অষ্টম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১০ ফেব্রুয়ারি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
ইইউডি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।