হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার আট নম্বর শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে জয় পেলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. বুলবুল খান। তবে নির্বাচনে একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ৫৯ ভোট পেয়েছেন বিজয়ী এ চেয়ারম্যানের স্ত্রী মোছা. আছমা আক্তার লাকী।
তবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও নিজের জন্য ভোট চাননি লাকী। বুলবুলের ভোট বাড়াতে তিনি ঘুরেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। স্বামীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যেতে পারে এমন শঙ্কায় বিকল্প প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থেকেছেন বলে বাংলানিউজকে জানালেন লাকী।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ষষ্ঠ ধাপের এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন পাঁচ প্রার্থী। ফলাফলে আনারস প্রতীকে ৫ হাজার ৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বুলবুল খান, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সামাদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১২৪ ভোট, চশমা প্রতীকে লাকী পেয়েছেন মাত্র ৫৯ ভোট, ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিন খান রাজিব ৪২১ ও জাতীয় পার্টির মখলিছ মিয়া লাঙ্গল প্রতীকে পান ১৫০ ভোট।
শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৯৮২ জন। ভোট কাস্ট হয়েছে ৭ হাজার ৮২০টি। ১২টি ভোট বাতিল হয়ে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৭ হাজার ৮৩২টি। ভোট প্রয়োগের হার ৭৮.৪৬ শতাংশ।
এদিকে, কাস্টিং ভোটের আট ভাগের একভাগেরও কম পাওয়ায় লাকীসহ অন্য তিন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে মোছা. আছমা আক্তার লাকী বলেন, স্বামীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আমার ইচ্ছা ছিল না। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমার স্বামীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করানোর জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তাই আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোট চেয়েছি স্বামীর জন্যই। তাই জামানত বাজেয়াপ্ত হলেও আফসোস নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
আরএ