কুমিল্লা: ষাটোর্ধ্ব ফাতেমা আক্তার। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ৮ নং বজ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন তিনি।
দীর্ঘ দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টায় তিনি বুথের সামনে পৌঁছান। ভোটার নাম্বার দেওয়ার পর ছবি এলেও বিপত্তি বাধে আঙুলের ছাপ নিয়ে। বুথের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আসতে বলেন। তিনি যথারীতি হাত ধুয়েও আসেন। কিন্তু ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলেনি। অবশেষে তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর ভোট না দিয়েই ফিরে যান তিনি।
মো. লিটন নামে ওই কেন্দ্রের আরেক ভোটার জানান, সব মেলে আঙুলের ছাপ মেলে না। আগেও তো ভোট দিয়েছি। এখন কেন মিলবে না?
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবুল কালাম মজুমদার বলেন, অধিকাংশ মানুষ কম শিক্ষিত। তারা ইভিএম বুঝতে পারে না। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাদের শিখিয়ে দিলেও ভোট দিতে পারছেন না।
সেমনা আক্তার নামে আরেক বৃদ্ধা জানান, গত বছরও তিনি ভোট দিয়েছেন। কিন্তু আজ তিনি ভোট দিতে পারছেন না। ইভিএমে ভোট দেওয়া নিয়ে ভোগান্তির শিকার এমন দুয়েকজন নয়। কুসিকের ৩০টি কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা যায়, সব কেন্দ্রেই অনেক মানুষ ভোগান্তির শিকার। এছাড়া ধীর গতি তো আছেই।
বজ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোনো কোনো নারীকে শিখিয়ে দিলেও ভোট দিতে ২০ মিনিট চলে যায়।
সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কুমিল্লা সিটিতে মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন দুজন।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ ছুটি থাকছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায়। নির্বাচনে পাঁচ জন মেয়র প্রার্থী, ১০৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৩৮ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৭টি ওয়ার্ডের মোট ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
এসএইচডি/আরআইএস