ঢাকা : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)। একইসঙ্গে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করা, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা চালু ও সংসদের আসন সংখ্যা বৃদ্ধিসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নিজ ভবনে রাজনৈতিক এ দলটির সঙ্গে সংলাপে বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তখন প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করে বাংলাদেশ ন্যাপ।
বাংলাদেশ ন্যাপ ইসির কাছে যে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন, তার মধ্যে আরও রয়েছে- আসনভিত্তিক নির্বাচনের পাশাপাশি ভোটের অনুপাতের ভিত্তিতে আসন বণ্টন, ছয়মাস আগে ভোটার তালিকা প্রকাশ, প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ, সংবিধানের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও অসঙ্গতিপূর্ণ আরপিও’র ধারা বাতিল, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ সমর্থনের বিধান রহিতকরণ।
এছাড়া তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা, ন্যূনতম পাঁচ বছর রাজনীতি না করলে প্রার্থিতা নয়, ইলেকটরাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস) গ্রহণ, প্রতিটি ভোট কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে লাইভ স্ট্রিমিং, কেন্দ্রে পিপল কাউন্টিং মেশিন স্থাপন করে নির্বাচনের দিন মোট ভোটের যোগফলের সঙ্গে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি পর্যবেক্ষণে, প্রত্যেক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সার্টিফিকেট ইস্যুর প্রস্তাবও তুলে ধরে বাংলাদেশ ন্যাপ।
সশস্ত্র বাহিনী থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের ব্যাপারে দলটি বলেছে, অন্তত ৩ সদস্যের প্যানেল গঠন করে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে।
দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), কমিশনের অপর ৪ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
ইইউডি/এমজে