ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

র‌সিক নির্বাচন ডি‌সেম্ব‌রের শেষ অথবা জানুয়া‌রির শুরু‌তে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
র‌সিক নির্বাচন ডি‌সেম্ব‌রের শেষ অথবা জানুয়া‌রির শুরু‌তে

ঢাকা: ডিসেম্বরের শেষ অথবা আগামী জানুয়ারির শুরুতে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এক্ষেত্রে নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে দেওয়া হবে তফসিল।

রোববার (৩০অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচ‌নের বিষ‌য়ে এখনো কো‌নো সিদ্ধান্ত হয়‌নি। ত‌বে আগামী ডি‌সেম্ব‌রের শেষ অথবা জানুয়া‌রির শুরুর দি‌কে নির্বাচন হতে পারে।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, সময় শেষ করে নির্বাচন করতে চাই না। একটু আগেই করতে চাই। ইভিএম বা সিসি ক্যামেরার বিষয়ে কমিশন সভায় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে। তবে সব সিটিতে ইভিএম, সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই আপত্তিকে গুরুত্ব দিই। তবে কোনটা সুবিধা সেটা আমলে নিই। সিটি করপোরেশন বা পৌরসভায় যে নির্বাচন আগামীতে হবে সেখানে ইভিএম, সিসি ক্যমেরা ব্যবহার করবো।

আমাদের রোডম্যাপে আইসিটির সর্বোচ্চ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত আছে। সিসি ক্যামেরায় অনিয়ম ধরতে সহজ হবে। কারণ ভোটকেন্দ্রের বাইরের (অনিয়ম) সবাই দেখে। কিন্তু ভেতরেরটাতো সবাই দেখে না।

ইভিএম বা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার না করার অনুরোধ রাখবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, যদি আমাদের কারিগরি সামর্থ্য হয় তবে কারও কথা শোনার তো কোনো সুযোগ নেই। ইভিএমের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত আমাদের।

তিনি আরও বলেন, সিসি ক্যামেরা নিরাপত্তার জন্য বাসা বাড়িতে, মার্কেটে, রাস্তায় আছে। এটার কারণ হলো অপারাধ কে করল তা সহজে ধরা। সিসি ক্যামেরা থাকলে অপরাধীরা সতর্ক থাকে। অন্যদিকে সবারই সক্ষমতা সীমিত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, কমিশন কারোর সক্ষমতা অসীম নয়। সিসি ক্যামেরা থাকলে সবার জন্যই সহজ হয়।

সর্বশেষ রংপুর সিটিতে নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। যেহেতু কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর, তাই এ সিটিতে নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।

ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়। এক্ষেত্রে এই সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে গত ১৯ আগস্ট। আর রসিক সিটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির থেকে আগের ১৮০ দিনের মধ্যে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
ইইউডি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।