ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গাইবান্ধায় অনিয়মকারীদের শাস্তি দিতে আরও সময় চাইলেন সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২২
গাইবান্ধায় অনিয়মকারীদের শাস্তি দিতে আরও সময় চাইলেন সিইসি

ঢাকা: বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আরও সাত থেকে দশ দিন সময় চাইলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, একটু অপেক্ষা করেন।

৭-১০ দিন সময় লাগবে। খণ্ডিত প্রতিবেদন পেয়েছি, পুরোটার (সবগুলো ভোটকেন্দ্রের) তদন্ত প্রতিবেদন দরকার।

শনিবার (০৫ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তদন্ত আমাদের কাছে পৌঁছেছে। আমরা আজকে দেখেছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা ৫১ কেন্দ্রের বিষয়ে প্রতিবেদন পেয়েছি। বাকি ৯৪ টি কেন্দ্রের বিষয়টি তো জানি না। তাই আরেকটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা ওই ৯৪টি কেন্দ্রের প্রতিবেদন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দেবে। তারপর আমরা সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেবো।

তাহলে ৫১ কেন্দ্রের অনিয়ম নিয়ে কী করল তদন্ত কমিটি- এই প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ব্যবস্থাটা আমরা এখন নিচ্ছি না। কী ব্যবস্থা নেবো না নেবো সেটা পুরোটা দেখে নেবো। আমাদের সিদ্ধান্তটা হচ্ছে আংশিক দেখেছি, পরিপূর্ণটা দেখবো। দেখার পরে পুরোপুরি একটা সিদ্ধান্ত নেবো। আপনারা যথা সময়ে জানতে পারবেন।

৫১ কেন্দ্রে তদন্তে মূল অভিযুক্ত কারা বা কিসের ওপর তাহলে তারা তদন্ত করলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তদন্ত করলেন আমাদের কি-ওয়ার্ডের ভিত্তিতে। তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে আছে। এটা কনফিডেনশিয়ার আমাদের কাছে। আমরা এ নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করবো না। আমাদের যে ফাউন্ডিং, আমরা যতটুকু দেখেছি, আমরা আরও দেখেবো। তারপর টোটালটার ওপর সিদ্ধান্ত নেবো।

তদন্ত কমিটির সুপারিশটা কী, এই প্রশ্নের জবাবে সিইসি আরো বলেন- এটা আমরা কিন্তু এখনই নয়, পুরোটা দেখে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেবো।

এতে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে কি-না. এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সাতদিনের মধ্যে ৯৪টি কেন্দ্রের প্রতিবেদন পাবো বলে আশা করি।

তাহলে কী পূর্ণাঙ্গ নয় বর্তমান তদন্ত রিপোর্ট, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বলতে পারেন যে খণ্ডিত তদন্ত হয়েছে। যে কেন্দ্রগুলো আমরা সিসি ক্যামেরায় দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেগুলো আমরা দেখিনি বা অল্প অল্প দেখেছি, তদন্ত কমিটি সেগুলো দেখে একটা প্রতিবেদন দেবে।

 খণ্ডিত কেন করলেন, বাকিগুলো কেন পরে- এই প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ১৪৫টি কেন্দ্রে একসঙ্গে দেখা সম্ভব হয়নি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-এর ৯১ ধারা বলছে কমিশন যেকোনো পর্যায়ে সুষ্ঠু নির্বাচন না হচ্ছে না বলে প্রতীয়মান মনে করলে আংশিক অথবা পুরো নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। আমরা আমাদের প্রজ্ঞা অনুযায়ী পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছি।

দেরির কারণে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি ঝুলে যাবে কি-না, আপনি অনিয়মে জড়িদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, একটু অপেক্ষা করেন, সব জানতে পারবেন।  
 

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের সময় সিসি ক্যামেরায় ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পেয়ে একে একে ৫০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে কমিশন। আর একটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এই অবস্থায় নির্বাচনের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেন সিইসি। পরে অনিয়মের কারণ ও দায়ীদের চিহ্নিত করে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। ওই কমিটি গত ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর ভোট সংশ্লিষ্ট ৬৮৫ জনের শুনানি করে ২৭ অক্টোবর ইসি সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এখন কমিশন বলছে ব্যবস্থা নিতে ওই প্রতিবেদন যথেষ্ট নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২২
ইইউডি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।