ঢাকা: আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে দল নিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি পর্যবেক্ষক টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই টিম নির্বাচনী পরিস্থিতি ও আরচণবিধি প্রতিপালন নিয়ে কাজ করবে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেনকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে- নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং ওই নিরপেক্ষতা যাতে জনগণের নিকট দৃশ্যমান হয় তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে হবে। ওই টিমে বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটদেরও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
জেলা নির্বাচন অফিসার টিমের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। টিমে বেসরকারি পর্যায়ের দল নিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নির্বাচনি এলাকার ব্যাপ্তি বিবেচনায় প্রয়োজনে একাধিক ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে হবে।
ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমের কার্যাবলী
সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে কি না, অথবা ভঙ্গ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে কি না তা সরেজমিনে পরিদর্শন, নির্বাচনি প্রচারণা ও নির্বাচনী ব্যয় বাবদ নির্বাচন বিধিমালার ৪৯ বিধিতে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে কি না বা অন্যান্য বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কি না তা সরেজমিনে পরিদর্শন, আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের কোনো বিষয় নজরে আসা মাত্রই বিধি অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া, অন্যান্য নির্বাচনী বিধি-নিষেধ ভঙ্গের ক্ষেত্রে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা নেওয়া এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে ফৌজদারি আদালতেও অভিযোগ দায়ের করা।
এ ছাড়া স্থানীয় পরিস্থিতির ওপর তিন দিন অন্তর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে। টিমকে প্রয়োজনে উদ্ভূত সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে নিরসনের পরামর্শ দিতে হবে। প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট বা তাদের পক্ষে অন্য কেউ আচরণ বিধিমালার কোনো বিধি ভঙ্গ করলে বা ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে বা বিধিমালার কোনো বিধি বিশেষ করে নির্বাচনি ব্যয় সংক্রান্ত বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। অন্যদিকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালতকেও তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানাতে করতে হবে।
রসিক ভোটে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৪ ডিসেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ৭ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটগ্রহণ ২৭ ডিসেম্বর। সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে অনুযায়ী এই সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২২
ইইউডি/আরএইচ